ক্রাইস্টচার্চে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হলো একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই প্রথম দু’দলের দেখা। কিউইদের সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিশোধ গ্রহনের। বিশ্বকাপ ফাইনালে না হেরেও শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ ঘোচানোর।
কিন্তু নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। হ্যাগলি ওভালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেলো ইংল্যান্ড।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার জন্য স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মার্টিন গাপটিলের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কিউইরা। ৭ বল খেলে ২ রান করে আউট হন গাপটিল। এরপরের ব্যাটসম্যানরাও বড় কোনো স্কোর করতে পারেননি।
সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৪ রান করেন রস টেলর। ২৬ বলে ৩২ রান করেন টিম সেইফার্ট। ১৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যারিল মিচেল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।
জবাব দিতে নেমে জনি বেয়ারেস্ট এবং ডেভিড মালান মিলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ১৩ বলে ১১ রান করে ডেভিড মালান আউট হয়ে যান। ২৮ বলে ৩৫ রান করেন জনি বেয়ারেস্ট। সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন জেমস ভিন্স। ৩৮ বলে ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
২১ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়ন মরগ্যান। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন স্যাম বিলিংস। শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জেমস ভিন্স।