পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর (আইএসপিআর) মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর রোববার এআরওয়াই নিউজকে বলেছেন যে, পাকিস্তান তার ভূখ-কে অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তান তার ভূমিকা পালন করবে। মেজর জেনারেল গফুর বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াÑ উভয়েরই মানসিকতা অভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “পাকিস্তান কোন পক্ষ বা বিষয়ের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হবে না বরং শান্তি ও শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অংশীদার হবে”। তিনি বলেন, ভারত যে পথে হাঁটছে, সেটা “তাদের নিজেদেরই ধ্বংস ডেকে আনবে”। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র্রের হামলায় ইরানের মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি নিহত হওয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশান্সের (আইএসপিআর) ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, এ অঞ্চলের পরিস্থিতি পাল্টে গেছে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য পাকিস্তান তার ভূমিকা রাখবে। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় শুক্রবার সকালে মেজর জেনারেল সোলায়মানি নিহত হন। এর ফলশ্রুতিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে চলে গেছে। এ ঘটনার পরপরই জেনারেল বাজওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে টেলিফোন আলাপে ‘সর্বোচ্চ সংযত আচরণ এবং গঠনমূলক বিনিময়ের’ উপর জোর দেন। সেনাপ্রধান ও পম্পেওয়ের টেলিফোন আলাপ সম্পর্কে গফুর বলেন, জেনারেল বাজওয়া টেলিফোনে দুটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, তিনি বলেছেন যে, এই অঞ্চলে একটা খারাপ পরিস্থিতি থেকে উৎরানোর চেষ্টা করছে এবং এখানে আফগানিস্তানের সমঝোতা প্রক্রিয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন যে, পাকিস্তান তার ভূমিকা রাখবে এবং এই ইস্যুতে তাদের মনোযোগ ঠিক রাখবে। দ্বিতীয়ত, তিনি বলেন যে, সেনাপ্রধান পম্পেওকে বলেছেন যে, এ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন করা উচিত। তিনি বলেন যে, এ অঞ্চলের সকল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত এবং গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নেয়া উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন সেনাপ্রধানের হুমকির ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে মেজর জেনারেল গফুর বলেন যে, লে. জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নতুন সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছে এবং ‘নিজের জন্য একটা জায়গা তৈরির জন্য তিনি ব্যস্ত’ কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কাছে তিনি নতুন কেউ নন। “এ অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সক্ষমতা সম্পর্কে তিনি ভালোভাবেই অবগত আছেন”। “২৭ ফেব্রুয়ারির ভারতীয় বাহিনীর সাথে তিনিও ছিলেন। তাই, তিনি নতুন কেউ নন”। মেজর জেনারেল গফুর আশা প্রকাশ করেন যে, জেনারেল নারাভানে “অযৌক্তিক পথে হাঁটবেন না”। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানে কিভাবে দেশকে রক্ষা করতে হয় এবং ভারতেরও সেটা জানা আছে”। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন যে, পাকিস্তান এ অঞ্চলে শান্তি কামনা করে কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রসঙ্গে তারা কোন ছাড় দেবে না। ভারত যে পথ বেছে নিয়েছে, সেটা তাদের নিজেদেরই ধ্বংস ডেকে আনবে। মেজর জেনারেল গফুর বলেন, “এ ধরণের বিবৃতি না দিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের উচিত অধিকৃত কাশ্মীরে অবরুদ্ধ অবস্থার ইতি টানা, সেখানে নির্যাতন বন্ধ করা, এবং হিন্দুত্ববাদী চিন্তা-ভাবনা থেকে ভারতে যে বর্বরতা শুরু হয়েছে, সেখানে তার নিজের ভূমিকা রাখা”। ডন, এআরওয়াই, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।