Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:২৬ পিএম

রোববার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র। সোমবার এইমস থেকে থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হাড় হিম করা সেই পরিস্থিতি বর্ণনা করলেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। একই সঙ্গে তার দাবি, হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে।

এ দিন ঐশী জানান, ক্যাম্পাসে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের ভিড় দেখে তারা পুলিশকে আগাম জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জেএনইউ-র উপাচার্য জগদেশ কুমারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ঐশী। তিনি বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। ওরা বলেছিলেন, সব ঠিক আছে। আমরা ওদের সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তার পরেই এই ঘটনা ঘটে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি বলে গর্বিত। হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’

সোমবার ঐশীকে ছাড়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। মাথায় ১৬টি সেলাই পড়েছে তার। তবুও, সেই অবস্থাতেই রোববারের পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছেছিল তা জানালেন তিনি। বললেন, ‘দুপুর আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম যে, আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। ক্যাম্পাসে অনেক অজ্ঞাত পরিচয় মুখ জড়ো হয়েছিল।’ ক্যাম্পাসে হামলা চালানোর জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল বলে আগেই বিবৃতি দিয়েছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ। এ দিন সেই কথাই তুলে ধরেছেন ঐশী। পুলিশকে জানানোর পরও ক্যাম্পাসে হিংসা এড়ানো গেল না কেন? ঐশী অভিযোগ করেছেন, ‘পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপই করেনি।’

ঐশীর কথায়, ‘ফি বৃদ্ধি নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম। আমরা ওই সমস্যার সমাধান চাইছিলাম। কিন্তু, কিছু ক্ষণের মধ্যেই মুখোশ পরা কিছু গুন্ডা সাবরমতী হোস্টেলের কাছে আমাদের উপর হামলা চালায়।’ ওই ঘটনার পর জেএনইউ ক্যাম্পাসে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় রক্তাক্ত ঐশীর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ঐশীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মুখোশপরা গুন্ডারা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমি রক্তাক্ত। আমাকে নিষ্ঠুর ভাবে মারধর করা হয়েছে।’

জেএনইউ-র সংসদের সভানেত্রী অভিযোগের আঙুল তুলেছেন জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফেডারেশন (জেএনইউটিএফ)-এর দিকেও। তার দাবি, ‘ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন জেএনইউটিএফ আমাদের হুমকি দিয়েছিল। আমরা শুধু মাত্র আপোসে মীমাংসা চেয়েছিলাম।’

সহিংসতার জন্য শিক্ষার্থীদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদেশ কুমার। এ দিন তার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ঐশী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে হিংসা ছড়িয়েছে উপাচার্যের জন্যই। ওর ইস্তফা দেওয়া উচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত তাকে সরিয়ে দেওয়া।’ সূত্র: এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ