মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। হামলাকারীদের বিচার দাবিতে রোববার রাতে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘মুখোশ পরে আচমকা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা বর্বোরচিত ও ন্যাক্কারজনক। এমন ঘটনায় আমি অবাক ও হতাশ হয়েছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশ এখন ফ্যাসিবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা আমাদের নির্ভিক শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বরকে ভয় পাচ্ছে। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ঘটনা তারই প্রমাণ।’
এদিকে বিশ্বদ্যিালয়ে হামলার ঘটনাকে ঘিরে ভারতের রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সমালোচনা করে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলা বিজেপি সরকারের বিভাজনের রাজনীতির প্রত্যক্ষ ফল বলে বিবৃতি দিয়েছে কংগ্রেস।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়ার মতো এই হামলায়ও সরকারের সমর্থন রয়েছে বলে এক টুইটবার্তায় অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম।
এছাড়া হামলার নিন্দা করে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
হামলা ঘটনা জানার পরপর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘এ ঘটনায় আমি ভীষণ ব্যথিত। নিজের ক্যাম্পাসে যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে?’
ওই হামলায় রক্তাক্ত ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশি ঘোষের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সিপিআইএম সীতারাম ইয়েচুরি। ভিডিওতে দেখা গেছে, ঐশির মাথা ফেটে রক্ত ঝড়ছে। সঙ্গীরা ধরাধরি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
ভিডিওটি পোস্ট করে সীতারাম লেখেন, ‘এটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে হিংসা ছড়াতে প্রশাসন ও বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এবিভিপির মধ্যে আঁতাত।’
এদিকে হামলার খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে মোদি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক টুইটে নিজের হতাশার কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই হামলার ঘটনা তদন্ত করতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রসঙ্গত রোববার রাতে মুখোশ পড়ে নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ হামলায় শিক্ষক-ছাত্র মিলিয়ে ৪২ জন আহত হন। বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদকে (এবিভিপি) এ হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।