পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের সমাবেশ চলাকালে সমাবেশস্থলের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে বেলা ১১টার দিকে ডাকসু ও কলা ভবনের সামনে ও সাড়ে ১১টায় কলা ভবনের সামনে মোট ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, গত ১ জানুয়ারি সারাদেশে কর্মসূচি পালন কালে হামলার শিকার হওয়ার প্রতিবাদে ঢাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রদল। তারই অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করছিলেন ছাত্রদল। বেলা ১১টার কিছু পরে ছাত্রদলের সমাবেশে যখন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বক্তব্য রাখছিলেন তার কয়েক গজ দূরে কলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোলণের ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এদিক সেদিক ছুটতে থাকেন। এরআগে বিক্ষোভ মিছিলের সময় ডাকসু ভবন ও কলা ভবনের মাঝের জায়গায় আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলাকারী লাল জ্যাকেট পরা ব্যাক্তিতে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও প্রক্টরিয়াল টিম জড়িতদের সনাক্ত করতে না পারায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. একে এম গোলাম রাব্বানীর সমালোচনা করেছেন। ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, ক্যাম্পাসে এরআগেও বেশ কয়েকবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রক্টরকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। জড়িতদের খোঁজে বের করতে তিনি প্রক্টরের প্রতি অনুরোধ জানান। তবে প্রক্টর কর্মসূচি পালনকালে আরো সতর্ক হতে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, আমাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ছাত্রদল যেন ক্যাম্পাসে আসতে না পারে তাই একটি চক্র ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ছাত্রদল ককটেল বিস্ফোরণ করবে প্রশ্নই ওঠেনা। ঢাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. একে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে ক্যাম্পাসে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন সবসময় প্রস্তুত থাকে।
এরআগে গত ২৬,২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ৩০ ডিসেম্বর ককটেল বিস্ফোরণে মধুর ক্যান্টিনের এক কর্মচারি আহত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে দায়ি করে আসলেও ছাত্রদল তা অস্বীকার করেছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
এর আগে ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচিতে সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে এতে সংগঠনটির ৩ শতাধিক কেন্দ্রীয় ও বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ নেয়।
ছাত্রদলের সমাবেশ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। এসময় নেতারা ডাকসুতে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। এরআগে বেলা ১১টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সারাদেশে ছাত্রদলের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, আমরা এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এরসাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে উল্লেখ করে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডাকসু ভবনে হামলার নিন্দা জানিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ এ হামলার সাথে জড়িত। আমরা প্রক্টর স্যারের কাছে দাবি জানাবো এ হামলার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। এসময় তিনি একটি চক্র ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে ছাত্রদলকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। এতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এ হামলার প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে কেন্দ্র থেকে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।