Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জামিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, তদন্তে রিপোর্ট!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:১৩ পিএম

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছিল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫ ডিসেম্বর নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে দুই পুলিশের বন্দুক থেকে তিনটি গুলি করা হয়েছিল, তদন্তে জানা গেল এমন তথ্য। যদিও সংঘর্ষের সময় কোনও গুলি চলেনি বলেই দাবি করছে পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব জেলা পুলিশ অফিসারদের দ্বারা প্রস্তুত ‘কেস ডায়েরি’ এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রসঙ্গত, ১৫ ডিসেম্বর বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হাজারো বিক্ষোভকারীরা সংসদে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মথুরা রোডে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। এমনকি পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জও করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের কয়েক ঘন্টা পরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার দুই শিক্ষার্থী, আজাজ আহমদ (২০) এবং মোহাম্মদ শোয়েব (২৩)-কে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোহাম্মদ তাইমিন (২৩) নামে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এমনকী তাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয় হাসপাতালের মেডিকো-লিগাল কেস রিপোর্টেও।

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। দিল্লি পুলিধের ডিসিপি (দক্ষিণ) চিন্ময় বিশ্বাল বলেন, ‘হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের এমএলসি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বন্দুকের গুলিতে আহত হওয়ার কথা। আহতদের বক্তব্যের ভিত্তিতে এটি লেখা হয়েছিল। কিন্তু আমরা কোনও শিক্ষার্থীর উপর গুলি চালাইনি। কোনও ধাতু বা প্লাস্টিকের মতো কোনও কিছু দ্বারা তারা আহত হয়েছেন। সফদরগঞ্জেও যারা ভর্তি হয়েছেন তারাও বলছেন তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু সেখানে এমন ঘটনা ঘটলে তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিকটবর্তী হলি ফ্যামিলি কিংবা ফর্টিসেই নিয়ে যাওয়া হত।’

সূত্রের পক্ষ থেকে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া এই ঘটনার পর পুলিশের তরফে উর্ধতন পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু সকলেই জানিয়েছিলেন তারা কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। যদিও ১৮ ডিসেম্বর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় দু’জন পুলিশ কর্মী গুলি ছুঁড়ছেন এবং পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

তবে জামিয়া মিলিয়া ও নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে হিংসাত্মক ঘটনায় দায়ের করা দুটি এফআইআরে উল্লেখ করা হয়নি গুলি চালানোর কথা। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই মামলার ডায়েরি অপরাধের শাখার কাছে হস্তান্তর করা হবে। এসআইটি পুলিশ কমিশনার অমূল্য পাটনায়েকের নির্দেশের পরই দাঙ্গার দশটি মামলা তদন্ত করছেন তারা।’ শনিবার ফের জিজ্ঞাসা করা হলে ডিসিপি বিশ্বওয়াল বলেন যে তদন্ত চলছে, তাই তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ