মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সেখানে জড়ো হন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। গতক্কাল শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহটির মুসলিম ও সিভিল। সোসাইটির যৌথ আয়োজনে এবং আমকো গ্রæপের ব্যানারে এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কালোা পতাকা ব্যানার হাতে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র এক হাজার মানুষকে জনসভার জন্য অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই শুই এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জড়ো হতে থাকেন লাখো মানুষ। ফলে এত সংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। দুপুর ৩টার মধ্যে সভাস্থল থেকে রাজ্য সচিবালয় এবং লক্ষাদিকাপুল এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘপথ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া অন্যান্য এলাকা, যেমন সোদ্দোবাদ, আরটিসি এক্স রোভস এবং হিমায়ন্তনগরে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন। স্কুলে অকাল্পরীণ রাস্তাগুলোতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এ সময় ব্যবসায়ী, আইনজীবী, প্রকৌশলী, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ এবং সন্তানদের নিয়ে গৃহিণীরাও ধরনা চকে একত্রিত হন। সমাবেশে মুসলিম ছাড়াও সনাক্তন ধর্মাবলম্বী শু অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জড়ো হতে দেখা। পেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো বিক্ষোভে হালাবাদে এতো সংখ্যক মানুষ দেখা যায়নি।
এদিকে লাখো মানুষকে জড়ো হতে দেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ। কিন্তু এত মানুষের মধ্যে পুলিশের সংখ্যা নগন্য হয়ে পড়ায় কর্মকর্তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে। তবে সবাই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করায় কোনো সহিংসা দেখা। যায়নি। এমনকি আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে অনেকে বলছেন, সিএএ নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই জনসমুদ্রের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সমাবেশে বক্তারা জানান, সিএএ বাতিল না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
শনিবার মুসলিম সম্প্রদায় ও নাগরিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে ‘মিলন মার্চ’ নামের এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। উল্লেখ্য, হায়দ্রাবাদের ৭০ লাখ বাসিন্দার প্রায় ৪০ শতাংশই মুসলিম ধর্মালম্বী।
গত ১২ ডিসেম্বর ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) পাস হওয়ার পর আইনটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকেন্দ্রিক সহিসংতায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।
শনিবার হায়দ্রাবাদ শহরে নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। অনেকেই ‘ধর্ম নিরপেক্ষতাই ভারতের একমাত্র ধর্ম’ লেখা প্লাকার্ড বহন করে।
হায়দ্রাবাদ ছাড়াও শনিবার দক্ষিণ ভারতের আরও কয়েকটি শহরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। কর্নাটক রাজ্যের বিভিন্ন শহরেও ব্যপক সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। বেঙ্গালুরু শহরে আয়োজিত বিক্ষোভে যোগ দেওয়া অনেকেই অভিযোগ করে অর্থনৈতিক মন্দা ও বেকারত্ব থেকে দৃষ্টি সরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভক্ত করতে চাইছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।