Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ত্রিপুরায় ভাঙনের মুখে বিজেপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:০০ পিএম | আপডেট : ৫:০০ পিএম, ৪ জানুয়ারি, ২০২০

জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। এবার ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে চলে আসছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। কার্যত দুই মেরুতে অবস্থান করছেন বিজেপির সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই নেতা। একজন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। অপরজন, রাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মণ।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, নারী নির্যাতন ইস্যুকে হাতিয়ার করে আগরতলায় নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই একটি মহামিছিল করেছেন সুদীপ। এমনকী, নাম না করে সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কটাক্ষও করেছেন। এর পালটা আবার এসেছে বিপ্লব শিবির থেকে। বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে সুদীপ রায় বর্মণকে কটাক্ষ করে পালটা মিছিলও করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই সুদীপ রায়বর্মনের সঙ্গে বিপ্লব দেবের বিবাদ চলছিল। এর আগেও একাধিকবার বিপ্লব দেবের সরকারের একাধিক কর্মসূচি এবং কার্যকলাপের সমালোচনা করেছেন সুদীপ রায়বর্মণ। এমনকী, দলবিরোধী কার্যকলাপের জেরে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকেও বরখাস্ত করা হয়। মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে সুদীপের কংগ্রেস যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তিনি দলত্যাগ না করে বিজেপিতে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরোধিতা করে চলেছেন।

শুক্রবার নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই মিছিল করেন তিনি। আগরতলার সেই মিছিলে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিল। সুদীপপন্থী বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা এবং বিধায়ক ছিলেন। সেই ‘অরাজনৈতিক মিছিল’ যে মূলত সরকারকে নিশানা করেই করা হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুদীপের এই ব়্যালির জবাব হিসেবে মিছিল করে বিজেপির মহিলা মোর্চাও। সেখান থেকে কটাক্ষ করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এই কটাক্ষ পালটা কটাক্ষের খেলাতেই বোঝা যাচ্ছে ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরে বড়সড় দ্বন্দ্ব চলছে। যে কোনও মুহূর্তে সদলবদলে বিজেপি ছাড়তে পারেন সুদীপ রায় বর্মণ। ইতিমধ্যেই তিনি নাকি কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।

সুদীপ রায়বর্মণ দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ছিলেন বিরোধী দলনেতাও। কিন্তু বছর দুই আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর তোপ দেগে দল ছাড়েন সুদীপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে ব্রতী হয়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ত্রিপুরায় সেসময় প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে সুদীপ রায়বর্মনের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল। কিন্তু ধীরে ধীরে ত্রিপুরায় তদানীন্তন বাম সরকারের প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠে বিজেপি। কাগজেকলমে প্রধান বিরোধী দল হয়েও আন্দোলনের জমি হারায় তৃণমূল। তখন বাকি বিধায়কদের নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান সুদীপ। তার হাত ধরেই ত্রিপুরায় শূন্য থেকে ক্ষমতার শীর্ষে আসে বিজেপি। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।



 

Show all comments
  • S das ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম says : 0
    শহরের কিছু মানুষ সুদীপবাবুর পক্ষে থাকলেও অন্য জায়গায় তা নেই এপুরা মানুষ গরিব এত রাজনীতির বুঝে না শাসকের সাথে থাকে বিপ্লব বাবু এটা বুঝে এতবড় চেলেঞজ নিচ্ছে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ