মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি যে বিশাল সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, তার বিস্তৃতি ছিল দিল্লি ও লন্ডন পর্যন্ত। শুক্রবার সুলেইমানির হত্যার সপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন দিল্লি ও লন্ডনেও সুলেইমানি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির। তার মৃত্যুতে আতঙ্কের রাজত্ব শেষ হল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সোলাইমানির হত্যাকে সমর্থন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন যে, ইরাকে নিরপরাধ মার্কিনীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে সোলাইমানি। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসেও তার নির্দেশেই হামলা চালানো হয়। এমনকি দিল্লি ও লন্ডনেও তিনি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
গত অক্টোবর মাসে পেন্টাগনের টার্গেট ছিল আইএস জঙ্গি প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। নতুন বছরের শুরুতেই টার্গেট ইরানের অন্যতম শীর্ষকর্তা কাসেম সোলাইমানি। দুটি ক্ষেত্রেই ‘সাফল্য’ মিলেছে। শুক্রবার, ইরানের অন্যতম শীর্ষ সেনাকর্তার মৃত্যুকে ঘিরে অস্থির হয়ে উঠেছে মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যও। কেন সোলাইমানিকে নিশানা করেছিল মার্কিন প্রশাসন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা এ বার দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুলে আনলেন দিল্লির নামও। ফ্লোরিডার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বহু নিষ্পাপ মানুষের মৃত্যু জন্য দায়ী কাসেম সোলাইমানি। সুদূর দিল্লি ও লন্ডনেও নাশকতার ছকে মদত ছিল তার। আজ আমরা সোলেমানির চালানো হিংসায় নিহতদের স্মরণ করছি, তাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছি যে সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে।’ তবে, দিল্লিতে কোন হামলার পিছনে সোলেমানির মদত ছিল তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে, গত ২০ বছর ধরে মধ্য প্রাচ্যে সোলাইমানি অস্থিরতা তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প।
কয়েক দিন আগেই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। তার জন্য সোলাইমানিকে দায়ী করে ট্রাম্প বলেন, ‘সাম্প্রতিক কালে ইরাকে রকেট হানায় এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও চার মার্কিন নাগরিক। বাগদাদে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অফিসেও হামলা হয়েছিল। আর এ সবের পিছনে ছিল কাসেম সোলাইমানির হাত।’ শুক্রবারের ড্রোন হামলা নিয়ে কার্যত বুক ঠুকেই ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা হলে অনেকের জীবন বাঁচানো যেত। অতি সম্প্রতি ইরানে বিক্ষোভকারীদের দমনপীড়ন করা হয়েছিল সোলাইমানির নেতৃত্বেই। তাতে কয়েক হাজার নিষ্পাপ মানুষকে অত্যাচার করা হয়েছিল ও মেরে ফেলা হয়েছিল।’
অন্যদিকে, শুক্রবারের হামলার রেশ থাকতে থাকতেই শনিবার নতুন করে হামলা চালানো হয় মার্কিন ড্রোন। ইরাকের আধাসেনা বাহিনী হাশেদ-আল-শবাবির একটি কনভয়ে হামলা চলে। তবে এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।