পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুরু হল নতুন বছর ২০২০ সাল। নতুন বছরে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কাটবে আওয়ামী লীগের দিন। মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানগুলো সার্বজনিনভাবে সুন্দর ও সুচারুভাবে উদযাপন করা, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জয়লাভ, বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলা, অনেকগুলো জেলা-উপজেলা সম্মেলন, বিতর্কমুক্তভাবে অঙ্গসংগঠন ও জেলা-উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে মূল চ্যালেঞ্জ। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ও দলের জন্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা হবে সবচেয়ে কঠিন। যা পার্শবর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে তৈরী হতে পারে।
আগামীকাল ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহি কমিটির যৌথসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী সংসদ। এ বৈঠকে সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। আলোচনা হবে সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। মূল চারটি বিষয় নিয়ে যৌথ সভায় আলোচনা হবে তা হল- ১.মুজিব বর্ষ পালন, ২. সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের কর্মবণ্টন, ৩. সারা বছরের সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা, ৪. বিভিন্ন দিবস যেমন ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ পালন করার কর্মসূচী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন বছরের শুরু থেকেই নতুন কমিটিকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ঢাকার দুই সিটিতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বজনীন করে ‘মুজিববর্ষ পালন’ করতে হবে। দলের অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা, জেলা-উপজেলায় বিতর্কমুক্ত নেতৃত্ব গঠন, তৃণমূল পর্যায়ে সৃষ্ট এমপিবলয় ভাঙা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ঢাকার পর চট্টগ্রাম সিটিতে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করা। এছাড়া বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং মাঠে নামবে নামবে বলছে। বিএনপিকে মাঠে নামতে না দেয়া এবং নামলে তাদের প্রতিহিংসামূলক কর্মসূচী মোকাবেলা করতে হবে। বৈশ্বিক
সমস্যা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগকে হিমশিম খেতে হতে পারে। যদি রোহিঙ্গা সমস্যার মত ভারত থেকে বাংলা ভাষাভাষিদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ বিষয়টি সরকারি ভাবে উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি দলীয় ভাবেও মোকাবেলা করতে হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে, কর্ণেল (অব.) ফারুক খান ইনকিলাবকে বলেন, বিভিন্ন দিবস পালন, কর্ম-বণ্টন, কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও মুজিব বর্ষ পালন করা নিয়ে আলোচনা হবে আগামীকালের যৌথসভায়। তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে সফলতা ছাড়াও বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় সতর্ক থাকতে হবে এ বছর। প্রতিবেশি দেশ ভারত ও মিয়ানমারের নাগরিকদের নিয়ে সমস্যা বাংলাদেশের জন্য সংকট। এই সমস্যা দল ও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ।
এদিকে মহানগর, জেলা-উপজেলা, সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা দলের জন্য ভাবনার বিষয়। অতীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশ, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের পদ পাওয়া, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করাসহ নানা অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মাথা ব্যাথা ছিল সারা বছর। এবার বিতর্কমুক্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে ক্ষমতাসীনদের।
সূত্রমতে, সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার আগে এর মধ্যে মাত্র একটি জেলার সম্মেলন হয়েছিল। তবে, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর গত তিন মাসে আরও ২৯টি জেলার সম্মেলন হয়েছে। বাকিগুলো এ বছরেই করার মিশন আছে আওয়ামী লীগের। সে কাজেও ব্যস্ত সময় পার করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
চলতি বছরের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সামনে ভোটের চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে দুই সিটিতে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। উত্তরের মেয়র পদে বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামকে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আর দক্ষিণে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের পরিবর্তে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিলর পদেও দল সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির অংশগ্রহণের এই নির্বাচনকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে আওয়ামী লীগ। ইভিএমের এই ভোটে জিততেই মেয়র পদে ‘ক্লিন ইমেজের’ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি চলছে দলের অভ্যন্তরে। ঘরোয়া বৈঠক, কর্মিসভার আয়োজন করা হচ্ছে। নগর আওয়ামী লীগের থানা ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে দিকনির্দেশনা। আজ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, নতুন বছরে ভোট দিয়ে শুরু হবে পথচলা। মুজিববর্ষ পালনে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে চাই। একই সঙ্গে আমাদের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, সংগঠন গোছানোর কাজ চলমান প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব বণ্টন হওয়ার পরেই আমরা আবার তৃণমূল গোছানোর কাজে নেমে পড়ব। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।