Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো অনিশ্চয়তার মুখে রোহিঙ্গারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আরো অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। তাদেরকে প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনায় সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। এ ছাড়া জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। তার শুনানি হয়েছে। এসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে আরো একটি ঝঞ্ঝাময় বছর শেষ হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে নৃশংস ‘জাতিনিধন অভিযান’ চালানোর ফলে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। তারা সেই দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই নতুন বছরে প্রবেশ করলেন। এ নিয়ে ব্যাংকক থেকে ভয়েস অব আমেরিকায় (ভিওএ) একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক স্টিভ স্যান্ডফোর্ড। এতে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের আশ্রয়শিবিরে অনিশ্চয়তার আরো একটি বছরে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার এই ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া নির্মাণ করছে। ফলে তাদের সামনে সেই একই রকম নির্দেশনা থাকছে, যেমনটা আগেও ছিল। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে মানবাধিকার বিষয়ক ফোরটিফাই রাইটসের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র বিশেষজ্ঞ জন কুইনলে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জীবন বিপন্ন। তারা আশ্রয় শিবিরের ভিতর বসবাস করছেন খুব কঠিন অবস্থায়। ফলে তারা কখনো বোটে করে, কখনো গাড়িতে করে নিরাপত্তার আশায় পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। তিনি মনে করেন, নতুন বছরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ওদিকে, রোহিঙ্গাদের জীবনমানে সমর্থন দিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে জাতিসংঘ ও তার অংশীদাররা। আসিয়ানের নেতারা ব্যাংকক সম্মেলনে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তারা রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ওদিকে রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন অব থাইল্যান্ডের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ নওশিন ব্যাংককে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা না হওয়াকে বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা পালিয়ে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে এসেছি। এখনও আমাদেরকে পালিয়ে থাকতে হয়। কারণ, আমাদের কোনো আইডেনটিফিকেশন নেই। এ জন্য কোনো দেশ আমাদেরকে গ্রহণ করতে চায় না। এরই মধ্যে মিয়ানমার বিশ্ব দরবারে তিনটি মামলার মুখে। গাম্বিয়ার করা গণহত্যার মামলায় শুনানি হয়েছে বছর শেষে হেগের আদালতে। সেখানে সেনাদের নৃশংস নির্যাতনের পক্ষ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি। এএলটিএসইএএন-বার্মা’র বিশেষজ্ঞ ডেবি স্টেথার্ড সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, এশিয়ার কোম্পানিগুলোর কোনো বাধ্যবাধকতা মেনে চলা উচিত হবে না, যখন মানবাধিকারের বিষয় আসে। এসব কোম্পানির বাণিজ্য আছে বাইরের অনেক দেশের সঙ্গে। যখন মানবাধিকার, গণহত্যার বিষয় আসে তখন কাউকেই ছাড় দেয়া উচিত হবে না। ভিওএ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ