Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে শুধু বন্দিরা নয়, পুরো রাখাইন সম্প্রদায় আক্রান্ত হচ্ছে : আরাকান আর্মি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:১৫ পিএম

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলমান উত্তেজনার কারণে নিজেদের হাতে আটক বন্দিদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রাখাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইং থুকা মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীকে বলেছেন, সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কেবল বন্দিরা নয়, পুরো রাখাইন সম্প্রদায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি’র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) এক শীর্ষ নেতা রাখাইনে আরাকান আর্মির হাতে বন্দি অবস্থায় নিহত হওয়ার এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের এক সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, আরাকান আর্মির সদস্যরা এনএলডি’র রাখাইনের বুথিডং শাখার চেয়ারম্যান ইয়ে থেইনকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বিবৃতিতে বলা হয়, গত সোমবার বুথিডংয়ের এক ঘাঁটিতে সেনাবাহিনীর হামলায় বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন ওই এনএলডি নেতা। তবে ওইদিন বুথিডংয়ে কোনও হামলার কথা অস্বীকার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এনএলডি নেতা ইয়ে থেইন নিহতের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে আরাকান আর্মি। সমালোচকদের দাবি, বন্দিদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে গোষ্ঠীটি। ওই বিষয়ে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইং থুকা বলেন, ‘কেবল বন্দিরা নয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণের হুমকিতে আছে পুরো রাখাইন সম্প্রদায়’। এমন অবস্থায় এনএলডি নেতাকে নিয়ে আতঙ্কিত থাকা অন্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি তথ্য আদানপ্রদানের অভিযোগে শত শত বেসামরিক মানুষকে আটক করেছে।
প্রসঙ্গত, ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণসহ রাখাইনে সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রচারণা চালায় আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের তথ্য বারবার সামনে আনার মধ্য দিয়ে সেখানকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলছে তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ