মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশে চলে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য আর কত নোংরা রাজনীতি করবেন। দিদিমণি, আপনি সন্ত্রাসবাদীদের জন্য মিছিল করছেন। যাদের জন্য মিছিল করছেন তারা সবাই দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। খবর ওয়ান ইন্ডিয়ার।
দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। মিছিলে লোক আসছে না, সভায়ও লোক আসছে না। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, একা জিততে পারবেন না। তাই বাংলার বাইরে গিয়ে সঙ্গী খোঁজার চেষ্টা করছেন। ব্যর্থ চেষ্টা করছেন দিদিমণি। আর কোনও আশা নেই। দিদিকে এবার বাংলাদেশেই চলে যেতে হবে।
দিলীপ ঘোষ একই দিনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুটি সভা করেছেন। দুই সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে। পুলিশ একটা লাঠিও চালাচ্ছে না। মিরাটে যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, পুলিশ তাদের গুলি করে মারছে। মমতা তাদের পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়লে মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভোটও কমে যাবে। উনি ২০২১ সালে ৫০টা ভোটও পাবেন না।
পাশাপাশি এদিন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থেকে মমতার ‘শক্তিশালী বিরোধী জোট গঠন’ নিয়ে তীর্যক কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন দিলীপ। তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর যেদিকে দৃষ্টি পড়ে সেদিকেই সাফ হয়ে যায়। কর্নাটকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গেছেন, তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে সরকার এক বছরও টেকেনি। সেই কারণে উদ্ধব ঠাকরে আর ডাকেননি ওনাকে। এখানে ডেকেছে, গেছেন, তাঁর মানে এ সরকারের কপালেও কষ্ট আছে।”
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দিলীপের সাফ বক্তব্য, “স্বাধীনতার সময় মুসলিমরা বলেছিল হিন্দুদের সঙ্গে থাকতে পারব না, আমাদের আলাদা দেশ চাই। তখন আমরা চোখের জলে ভারতমাতাকে দ্বিখন্ডিত করলাম। কিন্তু ভারত সবাইকে থাকার সুযোগ দিয়েছে।” এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জির মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতা ভয় পাচ্ছেন উনার চিন্তা ভাইপো, পরিবারকে নিয়ে। দেশের মানুষদের নিয়ে নয়। মমতা রাস্তায় রাস্তায় হেঁটেছেন অনুপ্রবেশকারীদের জন্য। উনাদের জন্য চিন্তা বেশি। আমার, আপনার জন্য উনার কোনও চিন্তা নেই। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।