ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) বিরোধিতায় সারা ভারতে বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছে। হিংসাত্মক প্রতিবাদেও জড়িয়েছেন অনেকে। যোগির রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে মারাও গেছেন অনেকে। সেই ঘটনায় যোগির বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছে ভারতের ছাত্রসমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রবিবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে কলকাতার বাঘাযতিন মোড় থেকে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত মিছিল করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। মিছিল শেষে যোগি আদিত্যনাথের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। লিবারেশন নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যোগি আদিত্যনাথের কুশপুতুল পোড়ানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ বাঁধা দেয়। কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে কোনো কারণ জানাতে অস্বীকার করে পুলিশ। লিবারেশন নেতাদের অভিযোগ, লালবাজারে আগাম জানানোর পরেও পুলিশ কর্মকর্তারা জ্বলন্ত কুশপুতুল ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে এবং শেষে বিক্ষোভস্থল থেকে কুশপুতুলটি নিয়ে চলে যায়। লিবারেশন নেতাদের কথায়, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের এ ধরনের আচরণে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সারা ভারতে যখন মোদি, অমিত শাহ ও যোগির কুশপুতুলকা পুড়ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের এই অগণতান্ত্রিক আচরণকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। সোমবার উত্তরপ্রদেশ ভবনের সামনে বিকেল ৩ টায় লিবারেশনের পক্ষ থেকে আবারো বিক্ষোভ দেখানো হবে এবং যোগি আদিত্যনাথের কুশপুতুল দাহ করা হবে বলে জানা গেছে। এবিপি।