মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দিয়েছে দেশটির উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী সংগঠন ব্রিটেন ফার্স্ট-এর পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্য। যুক্তরাজ্যের গত সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে তারা দলটিতে যোগ দিয়েছেন। এসব ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইসলামের প্রতি বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন-এর নেতিবাচক মনোভাবে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে তারা দলটিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেন ফার্স্ট-এর স্বাক্ষরিত সাড়ে সাত হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশই খোলাখুলিভাবে ইসলামবিদ্বেষী। গত বছরও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষজনিত অপরাধের দায়ে দলটির নেতাদের কারাগারে যেতে হয়েছিল। এখন কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেওয়া দলটির সাবেক নেতারা বলছেন, মৌলবাদী ইসলামের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব তাদের পুরনো দলের অধিকাংশ সদস্যকে অনুপ্রাণিত করেছে। ব্রিটেন ফার্স্ট-এর মুখপাত্র অ্যাশলে সিমন। কিছুদিন আগে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের তদন্তের আওতায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দলকে সমর্থন করবো যারা মৌলবাদী ইসলামের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে আগ্রহী। দৃশ্যত কনজারভেটিভ পার্টি তা করতে রাজি আছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ব্রিটেন ফার্স্ট-এর তিনটি উস্কানিমূলক মুসলিমবিদ্বেষী ভিডিও রিটুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এছাড়া, বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে গত বছর ব্রিটেন ফার্স্ট-এর ২০ লাখ লাইক সম্বলিত ভেরিফায়েড পেজ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে, ব্রিটেনে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর ভয়াবহ এক চিত্র উঠে এসেছে। পারিবারিক নির্যাতনবিরোধী প্রচারণায় কাজ করে এমন একদল অ্যাক্টিভিস্ট পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যে পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয় তার প্রায় ১৫ গুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয় পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে। পুলিশ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সূত্র থেকে নেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এ কারণেই পারিবারিক সহিংসতা রোধে পুলিশকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তারা। অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে যেমন পুলিশের জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়, তেমনি পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ব্রিটিশ সরকারের উচিত পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতা রোধেও বড় অংকের নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা, যেটি শুধু এই সমস্যা মোকাবেলার জন্যই ব্যয় হবে। গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।