মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, এক ঝাঁক মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের উপস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন। শপথের মঞ্চ হয়ে উঠল বিরোধী ঐক্যের নিদর্শন।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-এর কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনের সঙ্গেই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জেএমএম-এর দু’জন কংগ্রেসের এক জন। রাঁচীর মোরাবাদী মাঠে সুবিশাল মঞ্চে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন শনিবারই। বাকি অতিথিদের মধ্যে ছিলে অশোক গহলৌত, ভূপেশ বাঘেলের মতো মুখ্যমন্ত্রীরা। এ ছাড়া কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ছিলেন রাহুল গান্ধী, পি চিদম্বরম। ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, শরিক আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব-সহ দলের অন্য নেতারাও। বাম দলের পক্ষ থেকে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজা।
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জেএমএম, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এক জোট হয়ে ভোটে লড়ে বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। গত বারের চেয়ে তাদের ১২টি আসন কমেছে। জামশেদপুর-পূর্বে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও। ২৫টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। সেখানে বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে। দেশজুড়ে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভের আবহে ঝাড়খণ্ডের এই জয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বিরোধী ঐক্যে ফাটলের সুযোগ নিয়ে নাগরিকত্ব বিলকে রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিতে পেরেছিল বিজেপি। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরোধী প্রবল হাওয়ার মধ্যে দেশের বিজেপি-বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিজেপি-বিরোধী দলগুলির কাছে কার্যত সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।