Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ চলুক, ডাক জমিয়তের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ২:২৬ পিএম

শান্তিপূর্ণ পথে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। জাতীয়তাবাদের মনোভাব বজায় রাখা এবং ধর্মীয় বিভাজনের বিরোধিতা করে প্রস্তাবও নেওয়া হল সংগঠনের সমাবেশে।
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে রবিবার জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সমাবেশে বিপুল লোকের সমাগম হয়। প্রচÐ ভিড়ের কারণে লম্বা সময় পর্যন্ত থমকে গিয়েছিল মধ্য কলকাতার সকল রাস্তাঘাট। সমাবেশে সংখ্যালঘু পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। যা সচরাচর থাকে না। জমিয়তের নেতৃত্ব ছাড়াও সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান শ্যামল ঘটক, কাউন্সিলের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান প্রসূন দত্ত, শিবানন্দ মহারাজ, বেঙ্গল বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী প্রমুখ।
জমিয়তের রাজ্য সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সমাবেশে বলেন, “সম্প্রীতির অতীত আমাদের গর্ব। দেশের সংবিধান তৈরির সময় সে কথাই স্বীকৃতি পেয়েছিল। সংবিধান তৈরির সময় আরএসএস-বিজেপি ছিল না। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ছিল। আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম।’’ এ দেশের মুসলিমদের বড় অংশই পাকিস্তান চাননি এবং পাকিস্তানে যেতে চাননি, সেই কথা উল্লেখ করে সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, ‘‘৫৬ ইঞ্চি সে কথা ভুলে ভেদাভেদ করতে চাইছে! এই মানুষের জমায়েত থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলা থেকেই বিদ্রোহের শুরু হবে। তবে সবাই শান্ত থাকবেন। নীতি-আদর্শের কথা মাথায় রাখবেন। শান্তিপূর্ণ পথে এগোলে এই আন্দোলন অনেক দূর যাবে।’’ সমাবেশে গৃহীত প্রস্তাবেও বলা হয়েছে, ‘আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে অঙ্গীকার এবং ঘোষণা করছি যে, সম্মিলিত জাতীয়তাবাদ নিয়ে আমরা বসবাস করছি এবং করব। এই প্রশ্নে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কখনও বরদাস্ত করব না’।
নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার এবং এনআরসি বাতিলের দাবিতে বামরাও সমাবেশ করেছিল। হাওড়ায় তিনটি পৃথক প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। উল্লেখিত তিনটি সমাবেশেই জনগণের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়ার মতো। সেলিম বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা যে বিভাজন ঘটাতে চাইছেন, দেশের মানুষ তা মেনে নেবেন না।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ