Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিলিস্তিনী নেতাদের হত্যা মিশনের ঘোষণা ইসরাইলের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ পিএম

ফিলিস্তিনের গাজায় অবস্থান করা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে ‘গুপ্তহত্যার নীতি’ ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদীবাদী ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। গত ২৬ ডিসেম্বর তুরস্কের সরকারী পত্রিকা ডেইলি সাবাহ’তে খবরটি প্রকাশিত হয়। গত বৃহস্পতিবার ইসরাইল জানায়, গাজা স্ট্রিপে যেসব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গ্রুপ রয়েছে তাদের নেতাদের গুপ্তহত্যা করার নীতিতে ফিরে যাবে তেল আবিব।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সামরিক রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কাৎজ আরও বলেন, তার সরকার এখন গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে রকেট হামলায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ করছে।

এরপর চিহ্নিত ব্যক্তিদের হত্যা করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজের এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ফের বড় অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানমন্ত্রী অফির আকুনিস। খবর রয়টার্সের।

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মুসলিম বিশ্বকে বিভিন্ন সময় হুমকি হিসেবে দেখে আসছে ইসরাইল। রাষ্ট্রটি নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় মুসলিমদের প্রধান বাধা মনে করে।

এজন্য প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শুধু ফিলিস্তিনই নয়, বিশ্বজুড়ে মুসলিম নেতা ও বিজ্ঞানীদের গুপ্তহত্যা করে আসছে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। সাক্ষাৎকারে সেই গুপ্তহত্যার মিশনই ফের শুরুর হুমকি দিলেন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ।

ইসরাইলি বাহিনী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গাজা উপত্যকায় ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিভিন্ন অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

২০১৭ সালে তিউনিশিয়ায় হত্যা করা হয় দেশটির অ্যাভিয়েশন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-জাওয়ারিকে। তিনি ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন জাওয়ারি। নিজ বাসভবনের বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৫২ সালে মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী সামিরাহ মুসাকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইসরাইলের গুপ্তহত্যার এ মিশন।

সর্বশেষ চলতি বছরও বেশ কয়েকজন মুসলিম বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে তারা। এরমধ্যে আছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে কর্মরত ফিলিস্তিনি রকেট বিজ্ঞানী ফাদি মোহাম্মদ আল-বাতস। গত বছরের এপ্রিলে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে তাকে হত্যা করা হয়। গাজায় তড়িৎ প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করার পর মালয়েশিয়ায় একই বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও জ্বালানি সিস্টেম ছিল তার বিশেষত্ব। এ বিষয়ে তিনি বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন।
এদিকে নেতানিয়াহু আবারো দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনে দলের মুখে চুনকালি মাখানোর পরও ফের নেতানিয়াহুকেই দলনেতার পদে রাখলেন ইসরাইলের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠন লিকুদ পার্টি।

নির্বাচনে হারার পরও নতুন দলনেতা নির্বাচনের ভোটে শুক্রবার জয়ী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিবিসি।
ডানপন্থী এ দলটির মোট ১ লাখ ১৬ হাজার সদস্যের ভোট দেয়ার যোগ্যতা ছিল। এর মধ্যে মাত্র ৪৯ শতাংশ বৃহস্পতিবার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে লিকুদের দেয়া তথ্যে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় লিকুদ সদস্যদের ভোটদানের পরপরই টানা কয়েকদফা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতানিয়াহু ‘বড় ব্যবধানে’ জয়ের দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসরাইল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ