নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলে গত মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন এবং ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ। স্বাভাবিকভাবেই নতুন মৌসুমে সেই দল বসুন্ধরা কিংসকে নিয়ে সবার আগ্রহ তুঙ্গে থাকার কথা। তা আছেও, তবে তারা শুরুতেই নিরাশ করেছে! মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট টিভিএস ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও বসুন্ধরা নয়, ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। বিজয়ী দলের হয়ে স্থানীয় মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন ও আইভরি কোষ্টের মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়ের একটি করে গোল করেন। এর আগে ‘বি’ গ্রুপে দু’দলই একটি করে ম্যাচে জয় পেয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে। বসুন্ধরা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে টানা দু’হারে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। সেই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচেই দশজনের বসুন্ধরাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় চট্টগ্রামের দলটি।
শুক্রবার বসুন্ধরার সেরা একাদশে ছিলেন না রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস দেলমন্তে এবং লেবাননের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ কেদুকেও রাখা হয়নি সেরা একাদশে। তিন বিদেশী একাদশে না থাকায় অনেকটা শক্তিহীন বসুন্ধরা কিংস। উপরন্তু তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার আখতাম নাজারভ লালকার্ড পাওয়ায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে যায় কর্পোরেট দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। স্পষ্ট আধিপত্য বজায় রেখে ২৫ মিনিটে এগিয়েও যায় তারা। এসময় নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইদেনু চিনেদুর করা পাশে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রাকিব হাসান (১-০)। পিছিয়ে পড়ার পর দুর্ভাগ্য যেন আরো বেশী ভর করে বসুন্ধরার উপর। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে (৪৫ মিনিট) দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের শিকার হয়ে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরা কিংসের আখতাম নাজারভব। দশজনের দলে পরিণত হয় তারা। দশজনের বসুন্ধরাকে বাগে পেয়ে প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+২ মিনিট) ব্যবধান দ্বিগুন করে চট্টগ্রাম আাবাহনী। এ সময় নাসিরের ক্রসে গোল করেন চার্লস দিদিয়ের (২-০)। বিরতির আগেই দু’গোল হজম করে কোনঠাসা বসুন্ধরা শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও আর কোন গোল হয়নি। ফলে সহজ জয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।