Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভারত ফের উত্তাল, উত্তরপ্রদেশের ২১ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ

রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের টহল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:২৬ পিএম

ভারতে চলমান বিতর্কিত এনআরসি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরো বেড়ে যাওয়ায় উত্তরপ্রদেশের ২১ জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাড়ানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপরও নজরদারি চালাচ্ছে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে উড়ানো হচ্ছে ড্রোন। খবর এনডিটিভি।
রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিং বলেন, রাজ্যের ৭৫ জেলার মধ্যে ২১টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় রাজ্যের বিজনৌর, বুলন্দশহর, মুজাফফরনগর, মেরুত, আগরা, সম্ভল, ফিরোজাবাদ, আলিগড়, গাজিয়াবাদ, রামপুর, সীতাপুর এবং কানপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা শুরু হতে না পারে সেজন্যই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান আগরার তাজমহল। প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক তাজমহল দেখতে আসেন। সেখানেও শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার উপরও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৯ হাজার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন। গত সপ্তাহেই ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৪৯৮ জনকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। হিংসায় মদত ও জড়িত থাকার অভিযোগে শুধুমাত্র মেরঠেই ৭৯টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৭ জনকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ বলেন, “পুলিশ কোনও নিরীহ ব্যক্তিকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যাঁরা হিংসায় মদত দিচ্ছেন, তাঁদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। এবং সে কারণেই বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। নানা প্রান্তে হিংসা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বাস, গাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কোথাও লাঠিচার্জ, কোথাও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিচালনার অভিযোগও উঠেছে। যা নিয়ে রাজনীতি বেশ সরগরম। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাও অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও প্লাস্টিক পেলেট ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বিজনৌরে গুলিতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। যোগীর রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই সময়ই পাল্টা বিক্ষোভকারীদের গুলি চালানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা।



 

Show all comments
  • ash ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৫৭ পিএম says : 0
    SHOULD BREAK WAY FROM INDIA ! BECOME INDEPENDENT NATAION
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ