গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সড়কে যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে পরিবেশ ও বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। একই সঙ্গে আগারগাঁও সিগন্যাল থেকে শ্যামলীর শিশুমেলা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের শতাধিক অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে পরিচালিত নার্সারি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে থেকে এই অভিযান শুরু হয়। ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর নিকেতন, মহানগর প্রজেক্ট ও বনশ্রী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।
দ্বিতীয় দফায় গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের আগারগাঁও এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে বায়ু দূষণের অপরাধে ইউনাইটেড ন্যাশন্স চিলড্রেন্সস ফান্ড (ইউনিসেফ) এর এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ও সড়কে বায়ু দূষণের কারণ হতে পারে এমন ময়লা-আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে দেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
অভিযানকালে ইউনিসেফ এর কার্যালয়ে ভবন নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম খোলামেলাভাবেই পড়ে থাকতে দেখেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি না নিয়ে ফুটপাত ভাঙার অপরাধে ইউনিসেফ এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার আরিফ এবং আমিনুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে আগারগাঁও এলাকার সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, নার্সারি এবং আবাসিক কোয়ার্টারে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। এ সময় একটি ব্যাংক এবং জাতিসংঘ কার্যালয়ে বায়ু দূষণ সহায়ক পরিবেশ পাওয়ায় তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয় সিটি কপোরেশনের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে আগারগাঁও সিগন্যাল থেকে শ্যামলীর শিশুমেলা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসি। এ সময় উচ্ছেদ করা হয় শতাধিক অবৈধ দোকান। সরিয়ে দেওয়া হয় অবৈধভাবে পরিচালিত নার্সারি।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আনিক মাসুদ হোসেন বলেন, সিটি মেয়র বায়ু দূষণ রোধে অভিযানের সূচনা করেন। তারই অংশ হিসেবে এ অভিযান চলছে। তিনি বলেন, আগারগাঁও কেন্দ্রীক সরকারি বিভিন্ন অফিস থাকার কারণে আগারগাঁও সিগন্যাল থেকে শ্যামলীর শিশুমেলা পর্যন্ত এ সড়কটির গুরুত্ব এখন অনেক বেশি। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দুই পাশ দিয়ে অবৈধ দখলদারের দখল করতে করতে সরু করে পেলেছে। ফুটপাথের উপর দিয়ে একজন মানুষ হাটার উপায় নেই। তিনি বলেন, যারা সরকারি জায়গা, ফুটপাথ ও সড়ক দখল করে তাদেরকে আর ছাড় নয়। এ অভিযানে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।