রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় মাদকের ভয়াবহতা বাড়ছে। ফেন্সিডিল ও ইয়াবা আসক্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজের তরুণসহ যুব সম্প্রদায়। বয়স্ক ও উঠতি বয়সের যুবকেরা জড়িয়ে আছে মাদকের ভয়াবহ জালে। মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী শিবচরে প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে। তারপরও থামছে না মাদকের ব্যবহার। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন সচেতন মহল।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য অন্যতম সহজ পথ হচ্ছে মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌপথ। দক্ষিণাঞ্চল থেকে এ পথ হয়ে অধিকাংশ মাদক রাজধানীতে পৌঁছে থাকে। বিভিন্ন সময় ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হিরোইন ও গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতাদের আটক করেছে ডিবি ও মাদারীপুর র্যাব-৮ এর সদস্যরা। তবুও থামছে না এর ভয়াবহতা।
শিবচরে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হিরোইন ও গাঁজার পাইকারী বিক্রেতার সংখ্যা প্রায় ৫০ জন ও খুচরা বিক্রেতার সংখ্যা ৫শ’ এবং বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ স্পটে। শিবচর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ডিসি রোড, কালীবাড়ি সড়ক, খলিফাপট্টি, ৪নং ওয়ার্ডের যাদুয়ারচর, শান্তিনগর, স্বাস্থ্য কলোনী, বসুন্ধরা, বারিধারা, দাইপট্টি, ৫নং ওয়ার্ডের মহুরীপট্টি, গুয়াতলা বাহেরচর, বাইপাস সড়ক, ৬নং ওয়ার্ডের কেরানীরবাট, মধ্যেরচর, ৭নং ওয়ার্ডের নলগোড়া, খাজারডেক, ১নং ওয়ার্ডের গুয়াতলা, কলেজ রোড, ও শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার, কাঁঠালবাড়ি ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়ে থাকে বলে একাধিক সূত্র জানায়। কাওড়াকান্দি ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকায় যুবকরা ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মাদবরচরের বেইলি ব্রিজের জাহাজঘাট, বাখরেরকান্দি বেইলি ব্রিজের মাঝামাঝি স্থান, পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ এলাকার একাধিক স্থানে মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়ে থাকে।
দত্তপাড়ার গুয়াগাছিয়া, শিরুয়াইল, উৎরাইলসহ আশেপাশের গ্রামে বিক্রি হচ্ছে মাদক। তাছাড়া বাবলাতলা বাজার সংলগ্ন নদীর চর ও আড়িয়াল খাঁ ব্রিজের পাশে প্রায়ই মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে। এছাড়াও বহেরাতলা বাজারের আশপাশে, ঝাউকান্দি, সিঙ্গাপুর বাজারের পাশের জঙ্গল, যাদুয়ারচর দৈনিক বাজারের কয়েকটি পয়েন্টে মাদক সেবন ও বিক্রি হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থান মাদক বিক্রির জন্য খ্যাত।
স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, মাদকের ভয়াবহতা আরো বেড়েছে। উঠতি বয়সের ছেলেরাই আসক্ত হচ্ছে বেশি। পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশ সার্জেণ্ট আরিফ খান বলেন, ‘কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুট দিয়ে কোনো মাদক যেন পাচার না হতে পারে সে দিকে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে আমরা নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে থাকি। গত বছর নভেম্বরের শেষের দিকে আমরা ১৮শ’৬২ বোতল ফেন্সিডিলের চালান ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাঁচ্চর ওজন পরিমাপক স্থান থেকে আটক করতে সক্ষম হই। মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান জানান, মাদক রোধে প্রশাসন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ও এর পাশাপাশি প্রতি মাসের আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ মাদক বিক্রেতাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য জেলার সচেতন মহলকে সাহায্যের আহ্বান জানাই। ফেন্সিডিল ও ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজের তরুণসহ যুবকরা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। মাদক প্রতিরোধ করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি জেলার সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।