নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে সোচ্চার ছিলেন ফেডারেশনের সদস্য হেদায়েতুল্লাহ তুর্কী। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সোহেলের বিরুদ্ধে সরাসরিই স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন প্রায় ৫ মাস আগে। এবার নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে বাংলাদেশ স্কোয়াশ দল ব্যর্থ হওয়ায় ফের মুখ খুললেন তুর্কী। তার উপলব্ধি, মূলত ফেডারেশনের সাংগঠিনক দূর্বলতার কারণেই নেপাল এসএ গেমসে ব্যর্থ জাতীয় স্কোয়াশ দল। পদকহীনই দেশে ফিরতে হয়েছে তাদের। ফেডারেশনের সাংগঠনিক দূর্বলতায় নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাচ্ছে না স্কোয়াশ। ফেডারেশনের নেই কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও। সাধারণ সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশের স্কোয়াশকে এগিয়ে নিতে পুরোপুরিই ব্যর্থ ফেডারেশন। তাই সাফল্যও চোখে পড়ছে না। অথচ ২০১০ সালে ঢাকা ও ২০১৬ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমস থেকে দু’টি ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন লাল-সবুজের স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা। কিন্তু এবার নেপালের কাঠমান্ডু থেকে একেবারেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের।
সদ্য সমাপ্ত এসএ গেমসে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে জাতীয় দলের ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সেলিম আখতার বলেন, ‘অন্য সব দেশই নতুন জেনারেশনের খেলোয়াড় চলে এসেছে। কিন্তু আমরা নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করতে পারিনি। এসএ গেমসে গত দু’আসরে নেপালকে হারালেও এবার পারিনি।’ এ বিষয়ে ফেডারেশনের সদস্য হেদায়েতুল্লাহ তুর্কীর কথা, ‘আসলে নেপাল এসএ গেমস জাতীয় দলের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কোন কোচ ছিল না। ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হানিকেই কোচ দেখিয়ে নেপালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাছাড়া নতুন প্রতিভা তুলে আনার নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনাই ছিল না ফেডারেশনের। যার ফলে আগের দু’আসরে পদক আসলেও এবার নেপালে আমাদের তা হারাতে হয়েছে।’
দেশে স্কোয়াশের নিজস্ব কোন কোর্ট নেই। আজ এখানে তো কাল ওখানে। এভাবেই দিনের পর অনুশীলন করেছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।
বলা যায় অনেকটা যাযাবরের মতো খেলে থাকেন স্কোয়াশের ক্রীড়াবিদরা। বিভিন্ন সার্ভিসেস দলের কোর্ট এবং গুলশানের কোর্টই তাদের ভরসা। জানা গেছে, গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসের পর গত চার বছরে জাতীয় কোন চ্যাম্পিয়নশিপ হয়নি। বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ঘরোয়া আসর। তবে বিদেশে কয়েকবার খেলতে গিয়েছিলেন স্বপন পারভেজ ও মো. সুমনরা। ব্যাস, ওই পর্যন্তই শেষ। বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে স্কোয়াশের তৃণমূল কার্যক্রম চললেও তার ভবিষ্যত কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। তাই নিজেদের ভবিষ্যতও অন্ধকার দেখছেন স্কোয়াশ খেলোয়াড় রাশেদুল ইসলাম ও নাঈমুর রহমানরা। তাদের চোখে স্বপ্ন ছিল দেশ-বিদেশে স্কোয়াশ খেলে বড় খেলোয়াড় হওয়ার। সাফল্য পেয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার। সেই স্বপ্ন আজ ফিকে হয়ে গেছে। বিদেশ তো দূরের কথা, দেশেও আজ নেই ঘরোয়া কোন আসর। রাশেদ বলেন, ‘দেশে অনেক খেলা হয়, বিদেশে যাওয়া যাবে-এমন অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হামিদ আমাদেরকে স্কোয়াশ খেলায় এনেছিলেন। কিন্তু তার সিকিভাগও নেই এখানে।’
রাশেদুল ইসলাম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। নাঈমুর রহমান সিয়াম ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীতে পড়েন। দু’জনেই ২০১৮ সালের যুব গেমসের দলগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। দু’বছর পেরিয়ে গেছে, আজও তারা কোন ট্রেনিং ক্যাম্পে ডাক পাননি। খেলা হয় না বলে টুর্নামেন্টেও অংশ নিতে পারেন না। তাই তো রাশেদকে আক্ষেপের সুরে বলতে শোনা যায়, ‘অন্য ডিসিপ্লিনে আমার বন্ধুরা যুব গেমসের পর ট্রেনিংয়ে ডাক পেয়েছে। কিন্তু আমি পাইনি। তাছাড়া আমাদের কোন খেলাও নেই। স্কোয়াশে এসে জীবনটাই শেষ হয়ে গেল বোধহয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।