মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনের (এনপিআর) সঙ্গে নাগরিকপঞ্জির কোনো সম্পর্ক নেই বলে যে মন্তব্য দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি।
সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রধান বলেন, এনপিআর হলো এনআরসির প্রথম ধাপ। দেশকে ভুল বোঝাচ্ছেন অমিত শাহ। এনপিআর ঘোষণা হওয়ার পরই গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খোলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এনপিআরের সঙ্গে এনআরসির কোনো সম্পর্কে নেই।
এ নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ওয়াইসি বলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী আমরা এনপিআর করছি। তা হলে এনপিআর কি এনআরসির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন দেশকে ভুল বোঝাচ্ছেন?
তার মতে, ২০২০ সালে এনপিআর শেষ হয়ে গেলে আরও নথি চাইবে সরকার। এনপিআর হলো এনআরসির প্রথম ধাপ।
এনপিআর প্রসঙ্গে মঙ্গলবার অমিত শাহ বলেন, ওয়াইসি যে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে আমি অবাক হইনি। আমি যদি বলি সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, তা হলে তিনি বলবেন সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে। তবে ওয়াইসিকে জানিয়ে দিতে চাই এনপিআরের সঙ্গে এনআরসির কোনো যোগাযোগ নেই।
এদিকে আগামী বছর নাগাদ একটি আদমশুমারি ও লোকগণনার জন্য মঙ্গলবার তহবিল মঞ্জুর করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) এই তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এনআরসির বিরোধিতা করে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে এসেছেন।
একটি আদমশুমারি পরিচালনায় ইতিমধ্যে আট হাজার ৭৫৪ কোটি রুপি মঞ্জুর করা হয়েছে। আর জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) হালনাগাদ করতে তিন হাজার ৯৫৪ কোটি রুপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জনসংখ্যা, তাদের অর্থনৈতিক তৎপরতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অভিবাসী ও জনসংখ্যাসংশ্লিষ্ট উপাত্ত থাকবে নতুন এই আদমশুমারিতে।
ভারতের প্রতিটি নাগরিকের সমন্বিত পরিচয় এই তথ্যভান্ডারে থাকবে বলে খবরে জানা গেছে। এদিকে ধর্মভিত্তিক ও ইসলামবিদ্বেষী নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভারতীয়রা। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ওই আইনটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিহত ও কয়েকশ লোক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।