মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। এই বিক্ষোভ এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দেশটিতে চলমান গণবিক্ষোভে যুক্ত হয়েছে এক নতুন অভিনব প্রতিবাদ। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে বিয়ের আসর থেকেও বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ঘুরছে বিয়ের আসরে জানানো সেসব প্রতিবাদের ছবি। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়।
ভারত জুড়েই এখন সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। মেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বহু অঞ্চলে সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করে আটকানো হচ্ছে প্রতিবাদীদের। তবে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালার মতো কিছু রাজ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিক্ষোভ দেখাতে পারছেন আন্দোলনকারীরা। কারণ সেখানকার সরকারও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
কেরালা বরাবরই অভিনব প্রতিবাদের জন্য বিখ্যাত। তবে বিয়ের আসরে সিএএ এবং এনআরসি ঢুকে পড়বে এতটা কল্পনা করা যায়নি। কিন্তু দেশজুড়ে প্রতিবাদের আবহে কেরালার বেশ কিছু দম্পতি এ কাজটাই করছেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নিজেদের প্রতিবাদ সকলের কাছে পৌঁছেও দিচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে এই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে, দুই নবদম্পতিকে দেখা গেছে, বিয়ের সাজে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সিএএ ও এনআরসি বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। এই আইনকে ধর্মীয় বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন তারা। এদিকে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বাতিলে বর-কনে ও হবু দম্পতির এভাবে প্রতিবাদের বিষয়টি নেটিজেনরা প্রশংসা করছেন।
কয়েক বছর ধরেই কেরালায় রাজনৈতিক জমি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতীদের ঢোকা নিয়ে সাম্প্রতিক অশান্তিতেও বিজেপি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত লোকসভা ভোটেও কেরলে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি বিজেপি।
যদিও মোদী-শাহ বলেছিলেন, আগামী দিনে কেরালা দখলের স্বপ্ন দেখছেন তারা। কিন্তু সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে সেখানে বিয়ের আসরেও যেভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে, তাতে মোদী-শাহের স্বপ্ন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, সেই প্রশ্নই তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।