নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তার গড়া অনন্য কীর্তির রেশ রয়ে গেছে এখনও। এর মধ্যেই আরেক কীর্তিতে রেকর্ড বইয়ে আরেকবার জায়গা করে নিলেন আবিদ আলি। অভিষেকে সেঞ্চুরির পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছেন এই ওপেনার। পাকিস্তানের হয়ে এমন শুরু আগে পাননি আর কেউ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকাল করাচি টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরি করেছেন আবিদ। আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডিতে। তার রেকর্ডের দিনে সেঞ্চুরি করেছেন আরেক ওপেনার শান মাসুদও। দিন শেষে এ টেস্টে চালকের আসনে পাকিস্তান। লিড নিয়েছে ৩১৫ রানের।
ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে আবিদের আগে ছিল কেবল ৮ জনের। তাদের মধ্যে পাকিস্তানের ছিলেন না কেউ। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর আবিদের নাম এমন এক রেকর্ডে উঠে গেছে, যেটি নেই ক্রিকেট ইতিহাসে আর কারও। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুই সংস্করণে অভিষেকে করেছেন সেঞ্চুরি। টেস্টের আগে ওয়ানডে অভিষেকেও সেঞ্চুরি করেছিলেন আবিদ। সেই রেকর্ডের পর এবার দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে আরেক উচ্চতায় তুলে নিলেন ৩২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির প্রথম নজির গড়েছিলেন বিল পন্সফোর্ড। ১৯২৪-২৫ অ্যাশেজে সিডনি ও মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট। এরপর এই রেকর্ডের দুয়ার বন্ধ ছিল অনেক বছর। চার দশক পর আরেকটি অ্যাশেজে আরেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান জায়গা করে নেন এই ক্লাবে। ১৯৬৫-৬৬ অ্যাশেজে মেলবোর্ন ও ব্রিজবেনে সেঞ্চুরি করেন ডগ ওয়াল্টার্স। এরপর ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলভিন কালিচরন, ১৯৮৪-৮৫ মিলিয়ে ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ ব্লিউয়েট, ১৯৯৬ সালে ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি, ২০১৩ সালে ভারতের রোহিত শর্মা ও পরের বছর নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম স্বাদ পান প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির।
আজহার অবশ্য এই সবাইকে ছাড়িয়ে নিজেকে তুলে রেখেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রথম দুই টেস্টেই নয়, সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রথম তিন টেস্টেই। এখনও পর্যন্ত আর কেউ করে দেখাতে পারেননি তেমন কিছু। আবিদের সামনে সুযোগ থাকছে আজহারকে ছোঁয়ার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২ বছর কাটিয়ে, ১০৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭ হাজার রান করার পর গত টেস্টে অভিষেক হয়েছে আবিদের। তার পারফরম্যান্স বলে দিচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার যন্ত্রণা পুষিয়ে দেবেন বুঝি রানের জোয়ার দিয়ে!
প্রথম দুই টেস্টে সেঞ্চুরি না হলেও দুটি সেঞ্চুরিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছে আরও দুইজনের। দুইজনই অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে করেছেন সেঞ্চুরি। তাদের একজন আবিদেরই স্বদেশি, ইয়াসির হামিদ। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করাচিতে করেছিলেন ১৭০ ও অপরাজিত ১০৫। প্রথমজন ছিলেন লরেন্স রো। ১৯৭২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান করেছিলেন ২১৪ ও অপরাজিত ১০০।
পরশু ৫৭ রানে দিন শেষ করার পর গতকাল আবিদ-মাসুদের সেঞ্চুরিতে গড়ে ২৭৮ রানের জুটি। কুমারার বলে মাসুদ ফিরে যান ১৩৫ রানে। তারপরও অটুট ছিলেন আবিদ। ব্যক্তিগত ১৭৪ রানে কুমারার বলে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক আজহার ৫৭ রানেও বাবর আজম ২২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। লঙ্কানদের পক্ষে একমাত্র কুমারা পেয়েছেন দু’টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৫৯.৩ ওভারে ১৯১ ও ২য় ইনিংস : ১০৪ ওভারে ৩৯৫/২ (আগের দিন ১৪ ওভারে ৫৭/০) (মাসুদ ১৩৫, আবিদ ১৭৪, আজহার ৫৭*, বাবর ২২*; ফার্নান্দো ০/৮৪, কুমারা ২/৮৮, ইমবুনদেনিয়া ০/১৩৬, পেরেরা ০/৬৩, ধনাঞ্জয়া ০/১৯)। শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ৮৫.৫ ওভারে ২৭১ (তৃতীয় দিন শেষে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।