Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেরি পারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট

আরিচা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম


 ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে গতকাল শনিবার ৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ভোর রাত ৪টা থেকে বন্ধ হওয়ার পর সকাল ৯টায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। ফলে উভয় ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। এতে কনকনে শীতের মধ্যে যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। তীব্র শীতের মধ্যে যাত্রীদেরকে দীর্ঘ সময় বাসের মধ্যেই বসে থাকতে হয়েছে। উভয় ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে সহস্রাধিক যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথ দৃষ্টির বাহিরে চলে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে গতকাল ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সকল ধরনের ফেরি ও নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে পাটুরিয়া-উথলী মোড় থেকে আটকিয়ে আরিচার দিকে মহাসড়কে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। ফলে এ সড়কেও সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলাচলরত ১৪টি ফেরির মধ্যে কয়েকটি ফেরি দিক হারিয়ে মাঝনদীতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। ৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর কুয়াশার ঘনত্ব অনেকটা কমে এলে গতকাল সকাল ৯টা থেকে পুনরায় ফেরিসহ নৌযান চলাচল শুরু হয়।
এদিকে, গত দু’দিনে মোট ১২ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে নদীপারের অপেক্ষায় বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ সহস্রাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। গতকাল সকালে দু’ঘাটেই টার্মিনাল উপচে মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের লাইন বিস্তৃত হয়ে পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসির সিনিয়র প্রান্তিক সহকারী রায়হান উদ্দিন জানান, গতকাল ভোর রাতে হঠাৎ করে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌপথ দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যায়। এ সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। সকাল ৯টায় কুয়াশার ঘনত্ব কমলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যানবাহন

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ