পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ করে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আরিচা ও কাজিরহাটের ৪ ও ৫ নং ফেরি ঘাটের পন্টুন পানির নীচে ডুবে গেছে। ফলে এ ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহাসড়কে পণ্যবাহি ট্রাক ও পরিবহনে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহি ট্রাক ও গণপরিবহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ করা যায়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালকসহ যাত্রীদের। ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার অদূরে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছে ২৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে এক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরি ঘাটের পন্টুনের পাশে কেরামত স্টোরের মালিক বলেন, পদ্মা নদীতে এভাবে পানি বাড়ার নজির আমার জীবনে দেখিনি। গত বৃহস্পিতবার রাত ১১টার দিকে আমি দোকানে বসে আছি এমন সময় দেখতে পাই আমার দোকান পানিতে ডুবে যাচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি দোকান ঘর ভেঙে সরিয়ে নেই। দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারি ব্যবস্থাপক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাট দুটি ডুবে যায়। ঘাট দুটি সচল করার জন্য কাজ চলছে। আশা করি বিকেলের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। এই নৌরুটে ছোট বড় ২১টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসায় বিগত তিন দিন ধরে পদ্মা-যমুনায় দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরিচা ঘাটের কাছে যমুনা নদীর পানি ৮৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। দুই পারে দু’টি করে ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে উভয় পারেই একটি করে ঘাট সচল রয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। পন্টুনগুলো বার বার স্থানান্তর করতে হচ্ছে। এতে দফায় দফায় ফেরি লোড-আনলোড বন্ধ থাকছে। ফলে উভয় পারে ৮ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাক চালক শামিম জানান, সে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আরিচা ঘাটে আসেন ফেরি পার হওয়ার জন্য গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টাতেও ফেরি পার হতে পারেননি তিনি। মাইক্রোবাস চালক আব্দুল আলিম জানান, ফেরি পার হতে শুক্রবার সকাল ৮টায় আসেন আরিচা ঘাটে। তিনি বেলা ১টায় দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে সক্ষম হন।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, নদীতে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের ঘাট বানানো আছে। এখন শুধু পন্টুনগুলো লো-ওয়াটার লেবেল থেকে তুলে মিড ওয়াটার লেবেলে স্থানান্তর করলেই চলবে। আর এ কাজটি করবে বিআডব্লিউটিসি। বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা ঘাটের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, অরিচা-কাজিরহাটে দু’টি করে চারটি ঘাট রয়েছে। চারটি ঘাটের পন্টুন পানিতে ডুবে রয়েছে। দুই পারে দু’টি ঘাট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। দু’টি ঘাট দিয়ে কোন রকমে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। যেহারে পানি বাড়ছে তাতে পন্টুনগুলো লো-ওয়াটার লেবেল থেকে মিড ওয়াটার লেবেলে উঠাতে পারলে এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।