পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720426104](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমার বোন মরলো কেনো-হত্যাকারির ফাঁসি চাই - উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ শিক্ষার্থীদের ঠিক এমনি স্লোগানে উত্তাল ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাণকেন্দ্র চৌড়াস্তা। শনিবার দুপুরে তৃতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী সুমনা হকের (৯) হত্যার বিচার দাবিতে আবারো সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা ও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
দুপুরে বড় মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষার্থীরা একযোগে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করে এক মানববন্ধনে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের জনতা অংশ নেয়। এ সময় সড়কে বসে এমনি স্লোগানসহ আরো বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো চৌরাস্তা এলাকা। বিক্ষোভে শিশু সুমনা হককে হত্যাকারি রিয়াজ আহম্মেদ কাননের কঠোর শাস্তি দাবি করে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘন্টাব্যাপী এ বিক্ষোভে সড়কের দু’পাশেই যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালেহা খাতুন, ফারহাদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দেসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের জনতা।
এ সময় বক্তারা সুমনা হকের হত্যাকারি রিয়াজ আহম্মেদ কাননের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সে সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান তারা। পরে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকারির কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে জেলা শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় স্কুলছাত্র রিয়াজ আহম্মেদ কাননের বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনা হকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমনা হক গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েলের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। রিয়াজ আহম্মেদ কানন একই এলাকার ইয়াসিন হাবীবের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, সুমনা হক গত ১৬ ডিসেম্বর নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় জিডি করেন। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পাশের বাসায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুমনা।
এরপর থেকে প্রতিবেশি ইয়াসিন হাবীব কানন ও তার ছেলে রিয়াজের ওপর নজরদারি শুরু হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি সে স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যমতে তার বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।