Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদি-অমিতের হারের চিহ্ন ফুটে উঠছে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৩১ পিএম

চিহ্ন ফুটে উঠেছে! হেরে যাওয়ার চিহ্ন! আপনি পেছন ফিরে পালাতে চাচ্ছেন, নরেন্দ্র মোদি! মোদি-অমিতের সেই পিছু হটে পালানোর চিহ্ন ফুটে উঠছে, যা মানুষ দেখে ফেলেছে। কিভাবে?
চিহ্ন এক : মোদি-অমিতের সরকার এবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উর্দু ও হিন্দি পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে- ‘গুজব ও অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে’ শিরোনামে। দাবি করছে যে, ভারতজুড়ে এনআরসি করা হবে- এমন কোনো সরকারি ঘোষণা নাকি এখনো দেয়া হয়নি। ‘নো ন্যাশনওয়াইড এনআরসি হ্যাজ বিন এনাউন্সড’।
এতে মিডিয়াজুড়ে প্রায় প্রত্যেক মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া হয়েছে এই যে, আগে কোথায় অমিত শাহ ‘ভারতজুড়ে এনআরসি করা হবে’ বলে ঘোষণা করেছিলেন সেসবের উদ্ধৃতি তুলে এনে রিপোর্ট প্রকাশ করে দেয়া। এতে সবচেয়ে বেশি রেফার করা হয়েছে অমিত শাহের নিজের টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটকে। সেখানে বলা হয়েছিল, ভারতজুড়ে এনআরসি আমরা নিশ্চিত করব।’
এর পরও আবার অমিত শাহরা আরো বড় করে নিজেদের বেইজ্জতি ডেকে আনতে তারা এবার সেই পুরান টুইটই মুছে ফেলেছে। আসলে বিরাট এক কেলেঙ্কারির অবস্থায় এখন বিজেপি।
চিহ্ন দুই : মমতার তৃণমূল কংগ্রেস দলের হয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতা হিসাবে সংসদের ইস্যুগুলো দেখাশোনা করেন তৃণমূল এমপি ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘বিজেপির আইটি সেল টুইট মুছে দিতেই পারে। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সব রাজ্যে এনআরসি হবেই। তা মুছতে পারবে না ওরা।’ কথা সত্য, সংসদের রেকর্ড মুছবার ক্ষমতা কোনো একটা দলের নেই।
এছাড়া গত মার্চ মাসে ১১ তারিখে কলকাতায় বক্তৃতা দিতে এসে অমিত শাহ বলেছিলেন, সারা ভারতে এনআরসি করে খুঁজে খুঁজে কিভাবে তেলাপোকা উইপোকা অনুপ্রবেশকারী (মুসলমান) মেরে ভাগাবেন। সেই বর্ণনা দিয়ে ভোটার উত্তেজিত করার সহজ পথ নিয়েছিলেন। আজ মিডিয়াগুলো সেই রেফারেন্স বের করে সরকারকে আরো বেইজ্জতি করেছে।
তাহলে এত জায়গায় রেফারেন্স থাকা সত্তে¡ও এবং এমন রেফারেন্স যা লুকানো বা মুছে ফেললেও, তা জানাজানি হিয়ে যাবে এসব জানা সত্তে¡ও মোদি-অমিতের সরকার এমন মিথ্যা কথা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলতে গেল কেন?
এটাই সবচেয়ে বড় চিহ্ন যে, এর চেয়ে ভালো কোনো বক্তব্য-হাতিয়ার বিজেপির কাছে নেই। অর্থাৎ মোদি-অমিত এতই ফেঁসে গেছেন যে, এর চেয়ে ভালো বা বেশি বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্য তাদের হাতে নেই। এ ছাড়া সরাসরি মিথ্যা বলা বা প্রপাগান্ডা করে সদর্পে মিথ্যা বলার দিকে বিজেপির ঝোঁক আগেও দেখা গেছে। তারা মনে করে প্রপাগান্ডা করে অনেকদূর যাওয়া যায়। যেমন সেই অর্থে ভারতের মুসলমানেরা বিজেপির আসলে কোনো শত্রুই না, তা তারা জানে। বরং অ্যাসেট। কিভাবে? কারণ মুসলমানদের নামে ঘৃণা ছড়িয়েই তো হিন্দু-ভোট পোলারাইজ করে বিজেপির বাক্সে ঢুকাতে পারে! মুসলমানেরা না থাকলে সে কার ভয় দেখাত বা ঘৃণা ছড়াত। আর এটাই তো বিজেপির রাজনীতির কৌশল।
আসলে এখনকার ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির মূল্যায়ন হলো, একটু কৌশলে ভুল হয়ে গেছে, সেটা সংশোধন করে নিতে পারলে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে। সেটা হলো, সারা ভারতে এনআরসি করার কথা আগে না বলে আগে কেবল নাগরিকত্ব সংশোধিত বিল পাস করে নিতে হতো। এতে মুসলমান বাদে সব ধর্মের বললেও মূলত হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিয়ে নিলে এরপর সারা ভারতে এনআরসি করার কথা তুলতে হতো। তাহলে আজ যেভাবে ভারতের শহরের পর শহর নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্থাল হয়ে উঠছে সব উপড়ে ফেলতে শুরু করেছে, সেটা নাকি হতো না। এটা অবশ্যই তাদের মন সান্তনা! বাস্তবতা অনেক গভীরে চলে গেছে, যার খবর আর বিজেপি নিতে পারবে না।
সমাজতন্ত্র। আমাদের এই অঞ্চলের গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ হয়েছিল এর সবচেয়ে কষ্টভোগী। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় বললে, ষাট সালের মধ্যেই যাদের জন্ম তাদের সরাসরি সচেতন অভিজ্ঞতা আছে রেশন, টিসিবি, আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের হাহাকার। এক পিস লাইফবয় সাধারণ সাবান কিনতে পারার জন্য কয়েক ঘণ্টার লাইনে দাঁড়ানো। রেশন, লাইনে দাঁড়ানো আর সমাজতন্ত্র প্রায় সমার্থক শব্দ। আর মানুষের জীবনীশক্তি কেড়ে নিয়ে তাকে হতাশ করে ফেলার জন্য এর চেয়ে সহজ উপায় আর হয় না।
সৌভাগ্যবশত মোটামুটি পঁয়ষট্টি সালের পরে যাদের জন্ম টিনএজে এসে এদের আর রেশন লাইন দেখতে হয়নি, জিয়ার আমলে এসে এটা আস্তে আস্তে এর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। এতে অন্তত সরকার পরিচালক আর সাথে গরিব জনগণও বুঝে আক্কেল হয়ে যায় যে রেশন-সমাজতন্ত্রে দেশ চালানো কী জিনিস! আর একালে এসে ট্রাকে করে চাল কেনাতে মানুষ উৎসাহী হয় যখন এতে যে পরিমাণ পয়সা বাঁচে তা অতিরিক্ত সময় ব্যায়ের তুলনায় লাভজনক বিবেচিত হয়। আসলে পরিবারে বাড়তি সদস্য থাকে যাদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে অফুরন্ত সময় আছে এমন দিন আর সমাজের তেমন নেই। কিন্তু লক্ষ করা গেছে যে, নীতিনির্ধারকেরা মানুষের এই কষ্টের দিকটা আমল করেছেন, গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছেন, কোনোকালেই এমন মনে হয় না।
দেখা গেছে, এ বিষয়ে ভারতের মোদির সরকার সবচেয়ে গোঁয়াড় আর দানব। একালে এই ২০১৬ সালে নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে মানুষ কাজকাম ধান্ধা ফেলে ছুটেছে নোট বদলাবার জন্য ব্যাংকে লাইন ধরতে। মানুষের ওয়ার্কিং আওয়ার নষ্ট করে দেয়া মানেই সরাসরি আয়-ইনকামে ক্ষতি করে দেয়া। অথচ এই ক্ষতিটাই করা হয়েছে। বিশেষ করে গরিব-মেহনতি মানুষের যে আয়ে ক্ষতি এর কোনোই ক্ষতিপূরণ- ব্যাপারটা নীতিনির্ধারকদের আমলেই নেই। কথাটা হলো, সরকার যা দিতে পারে না, মুরোদ নেই, তা সরকার অন্তত কেড়েও নিতে পারে না। চাকরি বা আয়ের সুযোগ দেয়ার কথা সরকারের। তা না দিতে পারলে অন্তত আয়ের সুযোগ কেড়ে নেয়া সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাজ হতে পারে না। অথচ মোদি সরকারের এদিকটা আমল না করেই নোট বাতিলের পথে গেছে। আর ঠিক একই জিনিস ঘটিয়েছে আসামে। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আর এর চেয়েও বেশি কষ্টে ফেলেছে ডকুমেন্ট জোগাড়ের ছোটাছুটি আর অনিশ্চয়তা- যদি তালিকায় নাম না ওঠে? একে তো গরিব মানুষ ভাত জোগাড়ে সব সময় হিমশিম খায়, সেখানে এর চেয়েও প্রধান শঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তালিকায় নাম নাগরিকত্ব।
এনআরসির বেলাতেও যারা গরিব মেহনতিদের কষ্ট- লাইনে দাঁড়ানো, অনিশ্চয়তা, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার ভয় ও শঙ্কা, আয়-ইনকাম বন্ধ ইত্যাদি কোনো কিছুর দিকটাই নীতিনির্ধারকরা আমল করেনি। বরং বিজেপির ভোটের বাক্সে হিন্দুভোট পোলারাইজেশন ছিল একমাত্র লক্ষ্য।
তাহলে কেন এবার সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে থাকবে? কেন এর ভেতর দিয়ে প্রতিবাদের সুযোগ পেলে সেটাকে প্রবলে কাজে লাগাবে না? এতদিন হিন্দুত্বের জোয়ার তোলা হয়েছে। তা ভালো না লাগলেও খারাপ লাগেনি হয়তো। ভেবেছে এটা আমার কী, এটা মুসলমানের সমস্যা হয়তো। কিন্তু এতদিনে বুঝে গেছে ব্যাপারটা গ্যালারিতে আরামে বসে মুসলমানের কষ্ট দেখার নয়। বরং ব্যাপারটা সবারই ডকুমেন্ট আধার কার্ড জোগাড়ের ছোটাছুটির অনিশ্চয়তা। আবার আধার কার্ড মানে ন্যাশনাল আইডি দেয়া দেখাশুনা করা হয় পোস্ট-অফিস থেকে। নাগরিকত্ব বা এনআরসির ক্যাচালে সবাই ছুটছে পোস্ট-অফিসে অথচ পোস্ট অফিসে সেজন্য স্টাফ বাড়ানো হয়নি। কোথাও কাউকে সময় দেয়া হয়েছে হয়তো দেড় বছর পরে। অর্থাৎ অমিত শাহের ভোটের বাক্সের স্বার্থে মানুষকে কষ্টে ফেলছে অথচ স্টাফ বাড়ানো, বাড়তি স্টাফ দেয়ার আগ্রহ তার নেই। ব্যাপারটা তার চোখেই নেই। তাহলে কেন মানুষ নাগরিকত্ব বা এনআরসি বিরোধিতার সুযোগ পেলে তা উপড়ে ফেলে দিতে চাইবে না?
সার কথায় বললে পাবলিক পারসেপশন এখন আগের তুলনায় পরিপক্ব রূপ নিয়েছে মনে হচ্ছে। হিন্দুত্বের রুস্তমিতে হিন্দুগিরি বা হিন্দু-সুরসুরি আর তেমন কাজ করছে না সম্ভবত, ঢিলা দিয়েছে। নিজের ব্যক্তিস্বার্থ দিয়ে নাগরিকত্ব বা এনআরসি ইস্যুতে নার নিজের লাভক্ষতি দিতে বুঝতে চাচ্ছে মানুষ; বিশেষ করে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত। তাই তারা নাগরিকত্ব বা এনআরসি বিরোধিতার সুযোগ পেয়ে পুরা কাজে লাগাচ্ছে।
অতএব প্রশ্নটা এনআরসি বাস্তবায়ন নাগরিকত্ব বিলের আগে না পরে হবে সেটা এখানে কোনো ইস্যুই নয়। পাবলিক পারসেপশনে এর কোনো ফারাক নেই। বিজেপি সম্ভবত মুখরক্ষার জন্য এমন ‘সারা ভারতে এনআরসি বিজেপি চায়নি বলে মনোযোগ সরানোর অজুহাত খুঁজছে। কিন্তু বিজেপির আরেক সমস্যা হলো মোদি-অমিতের ওপর পাবলিক আস্থা হারিয়ে গেছে বা বিশ্বাস তুলে নিয়েছে মনে হচ্ছে। কাজেই এনআরসি না নাগরিকত্ব বিল কোনো ইস্যুতেই পাবলিক সরকারকে বিশ্বাস করছে না।
বাংলাদেশের চলতি সরকারকেও বিজেপি বিক্রি করেছে : ইদানীং লক্ষণীয় যে, ভারতের মিডিয়া এবার প্রকাশ্যেই লিখছে বাংলাদেশের সরকার নাকি ‘খোলাখুলিভাবে কাজে ও বাক্যে বছর দশেক ধরে প্রো-ইন্ডিয়ান’। কথাটা দ্য প্রিন্ট পত্রিকা লিখেছে, এমন ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সরকারকেও অমিত শাহ অপব্যবহার করেছে তা বুঝাবার জন্য। কথা সত্য। অমিত শাহ নতুন সংশোধিত বিলের পক্ষে সাফাই দেয়ার জন্য বাংলাদেশ হিন্দুদের ‘নির্যাতন করছে’, ‘সুরক্ষা করে নাই’ এসব কথা সরাসরি বিলের ভাষায় অথবা সংসদে অমিত শাহের কথায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের নাম সরাসরি বিলের ভাষায় পর্যন্ত উঠে আসায় এর অর্থ দাঁড়িয়েছে ভারত সরকারিভাবে বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করেছে। অথচ কূটনৈতিক করণীয় অর্থের দিক থেকে বললে, এ নিয়ে আগে কোনো এজেন্ডা সেট করা, কোনো আলাপ আলোচনা অথবা কোনো প্রমাণ পেশ ইত্যাদির কিছুই করা হয়নি। আবার বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করার বিনিময়েই এমন ভাষ্যের উপরের এই বল আনার যৌক্তিকতা ও সাফাই দাঁড়িয়ে আছে। আবার এটাই বিজেপির মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে ফলাফলে হিন্দুভোট পোলারাইজেশনে বাক্স বোঝাইয়ের পরিকল্পনা ও উপায়। মানে হলো ভারতের বিজেপি সরকার নিজের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ সরকারকে বেঁচে দিয়ে একে নিজের ভোটের ক্ষমতা পোক্ত করার উপায় হিসেবে হাজির করেছে।
আবার ওদিকে আসামের রাজ্য সরকার সেটাও বিজেপি দলের সরকার। আসাম সেই দেশভাগের সময় থেকে বাংলাদেশের ‘অনুপ্রবেশকারী’ মুসলমানদের তার সব দুঃখের জন্য দায়ী করে আসছে। তারা নাকি স্থানীয়দের চেয়ে সংখ্যায় বেড়ে তাদের সমাজ-সংস্কৃতি সব ধবংস করে দিচ্ছে। অথচ এনআরসি তালিকাতে দেখা গেল তাদের পারসেপশন ভিত্তিহীন। ছিটেফোঁটাও সত্যি নয়। আসামের মোট প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার ১%-এর মতো মুসলমান জনগোষ্ঠী তালিকায় নাম তুলতে পারেনি। অর্থাৎ একটা মিথ্যা পারসেপশনের উপরে তারা এখনো চলছে আর মুসলমান ঘৃণা ছড়িয়ে চলছে। আর এবার নাগরিকত্ব বিলের পরে ফোকাস গেছে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর যে, তারা এবার নাগরিকত্বের লোভে আসাম দৌড়াবে হয়তো। তবে এটা অবশ্যই মোদি-অমিত সরকারের ভোটবাক্স ভরবার ইস্যু। সেটা সত্যি সত্যিই ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু।
বিজেপির এই আসাম সরকারকেই আবার বাংলাদেশ সরকার ফ্রিচার্জে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বের হতে ট্রানজিট আর বন্দর ব্যবহার সুবিধা দিয়েছে। আসামের সরকার ও জনগণ কোন ন্যায্যতার ভিত্তিতে ও সাফাইয়ের বলে এই সুবিধাগুলো নেবে? সম্প্রতি নাগরিক বিলবিরোধী জনঅসন্তোষ চলার সময় আসামে বাংলাদেশ কাউন্সিলর অফিসের সাইনবোর্ড ভাঙচুর ও গাড়িতে হামলা হয়েছে। আসামের জনগণ ও সরকার আসলে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী চায়, কেমন সম্পর্ক চায় সেটা স্পষ্ট করে বলার হাই-টাইম চলে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে যেকোনো ট্রানজিটসহ, পোর্ট ফেসিলিটি ব্যবহার নিয়ে কোনো কথা শুরুর আগে ‘বাঙালি খেদাও’-এর ঘৃণাচর্চা নিয়ে তাদের মনোভাব পরিষ্কার করা উচিত। যার প্রতি এত ঘৃণা তার কাছ থেকে কিছু নেবে কেমন করে আর সে দেবেইবা কেন, এমনকি পয়সা দিলেও? সেও এক জেনুইন প্রশ্ন!
তাহলে মোদি-অমিত সরকারবিরোধী আন্দোলনে ক্রমেই উইকেট পতন চলছে। আগামী সাত-দশ দিনে আর কয়টা রাজ্য বা শহরে আন্দোলনে প্রভাবিত হয়, বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে- এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে মোদি-অমিতরা যত অসহায় ততই তাদের পরিকল্পিত দাঙ্গা বাধাবার সম্ভাবনা। আমেরিকান জেনোসাইড ওয়াচের ভাষায়, ভারত ধাপে ধাপে সেদিকেই আগাচ্ছে, ‘ভারতে গণহত্যার প্রস্তুতি চলছে।’



 

Show all comments
  • নূর-এ-আলম ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:৩০ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের সরকারের মোটা চামড়া। ভারতের এই আচরণ তাদের মাথায় আসবেওনা গায়েও লাগবেনা
    Total Reply(0) Reply
  • চৌধুরী হাটহাজারী চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৫ পিএম says : 0
    আমার লেখা হয়তো ভূল হতে পারে। সবাই বেশি বেশি দোয়া করলে ভালো হতো মনে হয়। গরীব নেওয়াজ রহমাতুল্লাহ আলাইহি সহ বে হিসাব আল্লাহ পাক এর আউলিয়ার এই ইন্ডিয়া ভেঙে কয়েক টা স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে পারি সবাই কে দোয়া করার আহ্বান জানায়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ