Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেয়ার হুমকি মুসলিম সাংবাদিককে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:২৯ পিএম

‘দাড়ি টেনে ছিঁড়ে দেব’ মুসলিম সাংবাদিককে আটকে ঠিক একথাই বলেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রের লক্ষেèৗর সাংবাদিক ওমর রাশিদ ছাড়া পাওয়ার পর বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমে একথা জানিয়েছেন। লক্ষেèৗতে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার একটি রেস্তোরা থেকে ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লক্ষেèৗ পুলিশ।
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল গোটা দেশ। অগ্নিগর্ভ উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলা। লক্ষেèৗয়ের বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন তিনি।
ওমর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমি ও আমার এক বন্ধু রেস্তোরায় বসে কাজ করছিলাম। সেই সময়ে ওই রেস্তোরায় সাধারণ পোশাকে কয়েকজন লোক ঢুকে আমাদের জেরা করতে শুরু করে।
আমি বলেছিলাম, আমি একজন সাংবাদিক। তবুও আমায় এবং আমার বন্ধুকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হল। আমাদের একটা ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
ভারতীয় সাংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে ওমর জানায়, ‘‘ওরা আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখল। ওরা আমার মোবাইল-সহ আর যা কিছু সঙ্গে ছিল, সবই কেড়ে নিল। বেধড়ক মারধর করল আমার বন্ধুকে। নানারকমভাবে জেরা করতে করতে ওরা আমাদের বলল, লক্ষেèৗয়ের হিংসার ঘটনার চক্রান্তে নাকি আমরা জড়িত। কাশ্মীরীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কতটা, ওরাও লক্ষেèৗয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সেই সব জানতে চাইল আমাদের কাছে। ওরা বার বার বলছিল, আমার বিরুদ্ধে ওদের কাছে নথিপত্র আছে। তার পর আমাকে গালিগালাজ করা শুরু করল অকথ্য ভাষায়। বলা হল, টেনে আমার দাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হবে।’’

সাংবাদিককে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দপ্তরে ফোন যায়। বিষয়টি জানানো হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ওপি সিংকে। তারপরই চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে সাংবাদিক ওমর রাশিদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ