পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরেয়ে দেয়ার ঘোষণা দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে নাগরিক অধিকার ফোরামের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল শুরুর আগে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় কাউন্সিল করছে। আমরা তাদেরকে দল হিসেবে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আশা করি- কাউন্সিলে তারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র কিভাবে ফিরিয়ে দেবে, বাংলাদেশের জনগনকে কিভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কিভাবে ফিরিয়ে দেবে, মানুষের কেড়ে নেয়া মৌলিক অধিকার কিভাবে ফিরিয়ে দেবে তার ঘোষণা দেবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ ও মির্জা আব্বাসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গতকালই আওয়ামী লীগের পক্ষ আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে শহীদদের তালিকা করবো। আওয়ামী লীগ যত তালিকা প্রকাশ করে আমার কোনো আপত্তি নাই। এই গুলোকে মুলধন করে তারা রাজনীতি করবে-যত তালিকা প্রকাশ করুক কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু তারা মূল তালিকায় হাত দিচ্ছে না কেনো? যারা বাংলাদেশের জন্য নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন, তাদের প্রাণের বিনিময় স্বাধীনতা এসেছে- তাদের তালিকা কোথায়? শহীদের তালিকা কোথায়? এই তালিকা প্রস্তুত করার পেছনে সরকারের এতো ইস্ততার কারণটা কী?
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন আমরা তাদের প্রত্যেকের নাম জানতে চাই, দেশের মানুষ জানতে চায়। বিএনপির পক্ষ থেকে পরিস্কার করে বলা হয়েছে যে, বিএনপি যেদিন ক্ষমতায় আসবে সেদিন শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করবে। শুধু তাই নয়, শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রত্যেকটি এলাকায় স্তম্ভের মধ্যে তাদের নাম প্রকাশ করবে।
আমীর খসরু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই শহীদদের তালিকা প্রণয়নের কথা বলার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চিন্তা করেন। আমরা বলতে চাই, সরকার যদি এই তালিকা না করে বিএনপি সেই তালিকা করবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকের (শুক্রবার) সব পত্রিকায় অ্যামিনেস্টি ইন্টান্যাশনালের একটা বক্তব্য এসেছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, চিকিৎসার জন্য ‘ম্যান্ডেলা রুলস’ প্রয়োগ করতে হবে। নেলসন ম্যান্ডেলাকে তার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার জন্য যেসমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছিলো, এখন গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকেও ‘ম্যান্ডেলা রুলসের’ মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। এটা বিশ্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠান থেকে এই বক্তব্যটা এসেছে। সেই বক্তব্যে এটাও বলা হয়েছে যে, তার (খালেদা জিয়া) ন্যায় বিচার হবে কিনা তা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সন্দিহান। একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এরকম বক্তব্য আসায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থান, গণতান্ত্রিক অবস্থান, মানবাধিকার অবস্থান, আইনের শাসন ভীষনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতার এই মাসে আন্দোলনের ধারা হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে পুনর্বার মুক্তিযুদ্ধের জন্য, পুনর্বার স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদেরকে।
নাগরিক অধিকার ফোরামের উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন খোকন, রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, আসম মোস্তফা কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।