Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিএএ, জামিয়া ও আলিগড়ে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরব হলেন বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:৪৭ পিএম

ভারতের জামিয়া মিল্লিয়ার বিক্ষোভে পুলিশি বাড়াবাড়ি নাড়িয়ে দিয়েছে সাড়া বিশ্বের শিক্ষাবিদদের। জামিয়া নিয়ে বিবৃতিতে সই করেছেন নোয়াম চমস্কি, জুডিথ বাটলার, নিবেদিতা মেনন, রোমিলা থাপাররা।
শুধুমাত্র ভারবর্ষের ছাত্রছাত্রীরাই নন, পৃথিবীর বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রের মানুষ ও লেখক-লেখিকারা বৃহস্পতিবার জামিয়া এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে। লেখিকা অরুন্ধতী রায় জানালেন, ‘দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। আর এই সময়টা আমাদের উঠে দাঁড়ানোর সময়। সরকার সংবিধানের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টায় আছে। একইসঙ্গে আমাদের পায়ের তলার মাটিও এরা কেড়ে নিচ্ছে’। বিশ্ববিখ্যাত ভাষাবিদ নোয়াম চমস্কি, ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার, লেখক রাজমোহন গান্ধীও চুপ না থেকে কলম তুলে সই করলেন পিটিশনে। সিএএ-র বিরুদ্ধে এবং জামিয়ার ছাত্রদের ওপর হওয়া পুলিশি হামলার প্রতিবাদে। পৃথিবীর ১,১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলে পেশ করলেন পিটিশন।
১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশি বর্বরতার তীব্র নিন্দা করে পিটিশন দেওয়া হল। বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, ইউসি বার্কলে, হেইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি, দ্য অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দ্য ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট, সায়েন্স পো, ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও ইত্যাদি রয়েছে। এ দেশের যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, জেএনইউ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, অশোক বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি দিল্লি, বম্বে টিস, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এর আগেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল।
উত্তাল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া : পুলিশের লাঠিচার্জ
ক্যাম্পাস থেকে বের করে ফুটপাতে ফেলে আন্দোলনকারীদের পেটাচ্ছে পুলিশ। মার খেয়েও প্রতিবাদ জারি রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। শিক্ষাবিদ ও ছাত্ররা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, 'আমরা জামিয়া ও আলিগড়ের ছাত্র, শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের পাশে আছি। পুলিশ যে আচরণ করেছে তা ভয়াবহ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সব নাগরিকের আছে। বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্ত চিন্তার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের প্রবেশ ও তান্ডব গণতান্ত্রিক সমাজের মূল কাঠামোয় আঘাত করেছে।'
দেশে-বিদেশে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এই প্রতিবাদ বিজেপিকে স্বাভাবিবকভাবে চাপের মধ্যে রেখেছে। চাপ কাটাতে তারাও পাল্টা প্রচারে নেমেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টুইট করে বলেছেন, 'দুনিয়ার কোনও দেশই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে সংরক্ষণ দেয় না। কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি বিদেশি অনুপ্রবেশকারীর পক্ষে। তাই তারা এর বিরোধিতা করছে।' আবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলছেন, নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার দেশভাগ করলেন। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের প্রমাণ এর আগে কখনও দিতে হয়নি।
তবে বিজেপি মহলেও যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা হল, প্রতিক্রিয়া এতটা ব্যাপক হবে, বিশেষ করে দেশজুড়ে ছাত্রছাত্রীরা যে এভাবে রাস্তায় নেমে নাছোড় প্রতিবাদ জানাবে, তা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি। তাদের ধারণা ছিল, অল্প কিছু জায়গায় বিক্ষোভ হবে, তা কড়াহাতে সামাল দিলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার বিক্ষোভ চলতে থাকবে, তাতে দলিত সহ হিন্দুরাও সামিল হবেন, তা আন্দাজ করতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছিলেন।



 

Show all comments
  • jack ali ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:২৮ পিএম says : 0
    O' Allah [SWT] no muslim country help the muslim around the world rather they oppressed their own muslim population..... O' Allah [SWT] take care of the oppressed muslim around the world and punished those criminal who are oppressing muslims.. Ameen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ