Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কবিতা

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

অর্ণব আশিক

অতলান্ত অন্ধকারে
অতলান্ত অন্ধকার আমাকে গিলে খায়
বেদনা আমাকে বলে যন্ত্রণাও কঠিন মায়া এক
দুঃখের মুখোমুখি হতে সাহস লাগে
একা একা পুতে নাও বুকে
দেখবে হৃদয়ের বাসকক্ষ ভেসে যাবে সুখে।
সুখ এভাবেই অতলান্ত অন্ধকারে দুঃখকে বরন করে।
সুখ অন্ধকার গিলে খায় বারন করে কাছে ঘেসতে
কষ্টকে বলে দেয়
আমার বারন্দা মিশে গেছে আলোর বানে
সৃজনী নিশ্বাসেরা স্থির বুকের গভীরে
লুকানো ষাট বসন্ত কুরে কুরে খায়
জীবনের ঝাঁঝালো মিছিলে। অতএব
এসো পোশাক বদলের মত বদলাই
দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা হৃদয়ের কোলাহলে ঠোঁট দিয়ে চেটে নেই
অতলান্ত অন্ধকার
জেনো অনর্গল কষ্টের বৃষ্টিপাতে
হৃদয়ের সঙ্কটে নির্জনে কেউ থাকবেই অপেক্ষায়।
খুঁজে নাও কে সে?


রকি মাহমুদ
বাংলাদেশ স্বাধীন করো

উৎসর্গ: তারামন বিবিকে

আশৈশব অস্তিত্বের অলিন্দে উঁকি দিতো বাংলার শ্যামল স্বর্গ
চর্যাপদের বঙ্গালী, বঙ্গালদেশই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাথমিক ধারণা
বাহান্ন, চুয়ান্ন,ছেষট্টি ঘুরে শতাব্দীর গৌরবময় ঘটনার সৌম্য সাক্ষী হতে
যন্ত্রবিদ থেকে দিনমজুর,নবীন থেকে প্রবীণ,অগাধ পন্ডিত তক নিখাঁদ অর্বাচীন
আত্মত্যাগের প্রতিপাদ্যে,ঘোষণা করলেন এক ইস্তেহার ‹বাংলাদেশ স্বাধীন করো›।
শব্দ্যে, নৈঃশব্দ্যে জেগে উঠলো এক নতুন সূর্যোদয়ের চিরস্থায়ী চিত্রকর্ম
বিভ্রান্ত শকুনেরা মেতে উঠলো মরণ নেশায়, রচিত হলো বিশ্বের বৃহৎ জেনোসাইড
হারাতে হলো ত্রিশলক্ষ স্বজন,দুইলক্ষ সম্ভ্রম,বার হাজার কোটি টাকার সম্পদ
শহীদের রক্তাক্ত চাদরে ঢাকা শরীর ছুঁয়ে শপথ নিলাম আর কথা দিলাম
তোমাদের ধ্রæপদী আত্মত্যাগে অর্জিত পতাকা কাউকে কেড়ে নিতে দেবনা।

শাহীন রেজা
ঘাসের আকাশ
ঘাসের আকাশ থেকে চুরি করে বেদনার হাঁস
দিয়েছো উড়াল এঁকে সাথে তার ছায়াদের লাশ
যদিও শুনেছি এই জল জাল আমাদের নয়
তবুও ধীবর সেজে দেখে গেছি জীবনের ক্ষয়
শিমুল শালুক আর মায়া দিয়ে গড়ে তোলা ঘর
শুয়েছে তৃণের বুকে হরিণের মায়াবতী চর
পকেট লোপাট তবু জমা কতো হৃদয়ের ভার
জীবন অরণ্য থেকে পলাতক চেতনার ধার।
আমাকে চেয়েছে রাত তবু আমি ঘুমভোর হয়ে
নয়ন হারিয়ে পথে খুঁজে যাই নয়নের ভয়ে
কবির কবিতা জুড়ে পাখি আর প্রণয়ের সুর
এভাবে মিলেছে তারা এভাবেই কাছে আর দূর
কার্তিক কান্তার জুড়ে শুধু ধান হলুদের খেলা
সৃজনে সুজন ওরা টানে দাঁড় কলম্বাস-ভেলা।

সুমন আমীন
ওগো বঙ্গেয় ব-দ্বীপ
স্বপ্ন সাজানোর টানে
জীবনের কিশতি ভিড়ে
তোমার ঐতিহ্যিক ঘাটে ঘাটে
যেভাবে ঢাকাই মসলিনের লোভে
খরগ্রোতা বুড়িগঙ্গার জল ভাঙ্গে
মধুলোভী সওদাগরি নাও।
তোমার পদ্মার স্রোতের তীব্রতায়
কেঁপে ওঠে হালাকু- বর্গীর তলোয়ার।
ওই দেখো,কোমল পলির মায়াবতী টানে
নতজানু মহাবীর আলেকজান্ডার।
সভ্যতার পরতে পরতে
আজ যত প্রেম,মায়া,অহিংসা,পরমতসহিষ্ণুতা
এখান থেকেই প্রথম পৌঁছে যাক বাকি পৃথিবীর কাছে।
প্রেমের ফেরিওয়ালা ওগো বঙ্গেয় ব-দ্বীপ
দেশে দেশে শান্তির কপোত হয়ে উড়ো।

মোহাম্মদ মাসুদ
স্পর্শ
জীবনের অপূর্ণতাও একরকম
পূর্ণতার আবেশে মুগ্ধ করে
ভালো লাগায় জাগিয়ে তোলে;
জীবনের চলমান বিশেষ সময়
জীবনকে সার্থক করে
এরকম ভালোলাগা স্পর্শ করতে হয় এবং
জীবন পাঠ করতে হয়
শূন্য হাতটিও বাড়িয়ে দিতে হয়- অগ্নিস্তূপে
অন্যরকম আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি হয়; মুগ্ধতায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন