বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা আর ক্ষোভের সাথে নিন্দার মাঝে জনমনে নানামুখি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ তালিকায় পাক বাহিনীর হাতে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য, গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা, এমপির পিতা ও পুলিশ কর্মির নাম রয়েছে। তবে প্রশাসন ক্যডারের তেমন কারো নাম থাকার বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারিদের মধ্যেও আলোচনা সমালোচনা চলছে। অথচ খোদ বরিশাল মহানগরীতে চিহ্নিত রাজাকারের নাম তালিকায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালের শত্রু সম্পত্তি যারা লীজ নিয়ে ব্যবসা করেছিল তাদের নামও স্থান পায়নি তালিকায়।
বরিশাল-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা মো. শাহে আলমের পিতা ডা. সাইয়েদ উদ্দিন তালুকদারের নাম রাজাকারের তালিকায় রয়েছে । এ ব্যাপারে এমপি শাহে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোন সাইয়েদ উদ্দিন তা আমি জানি না। আমি ক্লাস সেভেন-এ পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। সেই থেকে ছাত্রলীগ ও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পরিবারের সবাই এ দলের সাথে সম্পৃক্ত। আমি যতটুকু জানি, বাবা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো কাজের সাথে জড়িত ছিলেন না’।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তালিকায় বরিশাল বিভাগের ৬ নারীর নামও রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার মাতা বরিশাল নগরীর ঊষা রানী চক্রবর্তী, নগরীর ঝাউতলা এলাকার কনক প্রভা মজুমদার, উজিরপুরের বিজয়া বালা দাস, আভা রানী দাস, পারুল বালা কর্মকার ও বাবুগঞ্জের দেহেরগতি এলাকার রাবিয়া বেগম রয়েছেন। উজিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবদুর রশিদ মোল্লার নামও রাজকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। রাজাকারের তালিকায় দক্ষিণাঞ্চলের ২৬ জন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। ইন্সপেক্টর থেকে কনষ্টেবল পর্যন্ত পুলিশ কর্মিদের নাম আসলেও মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রশাসনে কর্মরত কারো নাম না আসায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন একাধিক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে তালিকায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিগন। অনেকেই প্রকৃত রাজাকারদের বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানানোর এ প্রচেষ্টায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।
তালিকায় দক্ষিণাঞ্চলের দু’জন সাবেক এমপি, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ২৬ জন সাবেক পুলিশ সদস্য, ১২ জন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ৭ জন সাবেক মেম্বারসহ শিক্ষক, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর নাম এবং পদবী অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনই নানাজনের ক্ষোভ আর নিন্দা প্রকাশ পাচ্ছে। বুধবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে ’৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা বাবুগঞ্জের গৌতম চন্দ্র পাল এক সংবাদ সম্মেলন করে তার নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।