Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বড় জয়ে মৌসুম শুরু করলো আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:০৬ পিএম

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) থেকে উঠে আসা পুলিশ ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে বড় জয়ে মৌসুম শুরু করলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। টিভিএস ফেডারেশন কাপ দিয়ে বুধবার মাঠে গড়িয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। এদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ৪-০ গোলে হারায় ও নবাগত বাংলাদেশ পুলিশকে। বিজয়ী দলের হয়ে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ড দু’টি এবং স্থানীয় ফরোয়ার্ড নাবীব নাওয়াজ জীবন ও নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা একটি করে গোল করেন। এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বিসিএলের শিরোপা জিতে প্রথমবার পেশাদার দলের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রথম আসরেই বাজিমাত করতে তারা উড়িয়ে এনেছে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাকার সতীর্থ ফুটবলার সিডনি রিভেরাকে। কিরগিজস্তান জাতীয় দলের আরতুর মুলাজানভ ও আয়দার মামবেতালিভ এবং বুলগেরিয়া অ্যান্তোনিও লাসকোভকেও দলে ভিড়িয়েছে তারা। এদের প্রশিক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে সাইপ্রাসের নিকোলা ভিটরোবিচ’কে। এতোকিছুর পরেও নতুন মৌসুমে পুলিশের অভিষেকটা সুখকর হলো না। শুধু হারই নয়, বড় হারেই শুরু হলো তাদের যাত্রা।

বুধবার ম্যাচে আবাহনীর অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড ছিল ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনের হাতে। খেলোয়াড়ী জীবনে এই প্রথম অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেলেন তিনি। অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে গোলও পেলেন একটি। তাই উচ্ছ¡সিত জীবন বলেন,‘নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে গোল করে শুরু করতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে। যেকোন ম্যাচে গোল পাওয়া মানেই আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাওয়া। এই মৌসুমে আমার লক্ষ্য কমপক্ষে ২০ গোল করা।’

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœ ফুটবল উপহার দেয় আবাহনী। প্রথমার্ধে তারা একচেটিয়াই আক্রমণ করে খেলে। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণের মুখে প্রায় দিশেহারা ছিল পুলিশের রক্ষণভাগ। যে কারণে বিরতির আগেই তিন গোল হজম করে নবাগতরা। তবে প্রথমার্ধেই তিন গোল করায় হয়তো আবাহনীর ফুটবলাররা কিছুটা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিল পুলিশ। তারা কিছুটা গোছানো, গতিশীল ও আক্রমণাতœক ফুটবল খেলে। দু’টি ভাল সুযোগও পেয়েছিল দলটি। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিলনা বলে গোল হয়নি।

ম্যাচের ২৮ মিনিটে প্রথম গোল পায় আবাহনী। এসময় ডান প্রান্ত দিয়ে কিরগিজ মিডফিল্ডার এডগার বার্নহাড বাঁকানো ফ্রি কিক করেন। বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে হাইতিয়ান ফরোয়াড বেলফোর্ট কারভেন্স ফিলস্ লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন (১-০)। মিনিট তিনেক পর রায়হানের লম্বা উড়ন্ত থ্রো বক্সের ভেতরে মধ্যে জটলার মধ্যে পুলিশের ডিফেন্ডার খান মো. তারা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে যে হেডটি করেন তা সামনের দিকে না গিয়ে উল্টো পেছনে নিজেদের গোলপোস্টের দিকে চলে যায়। আলতো শটে বল জালে জাড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন স্ট্রাইকার জীবন (২-০)। ৪২ মিনিটে সানডে বাঁ পায়ের তীব্র উঁচু শটে আরও একবার পরাস্ত করেন গোলরক্ষক হিমেলকে (৩-০)। ৬৯ মিনিটে ফের রায়হানের থ্রো। বক্সের ভেতরে সেই উড়ন্ত বল হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ‘হ্যান্ডবল’ করে ফেলেন পুলিশের এক ডিফেন্ডার। রেফারি মিজানুর রহমান পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন বেলফোর্ট (৪-০)। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পুলিশ। বড় ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ