নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে আর্সেনাল সুপারস্টার মেসুত ওজিলের বিতর্কিত টুইটের জেরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে টেলিভিশনে দলটির খেলা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। ফলে গেল রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে গানারদের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন চীনা ফুটবলপ্রেমীরা।
চীন সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের আন্দোলন সমর্থন করে সম্প্রতি টুইট করেন তুর্কি বঙশোদ্ভূত ফুটবলার ওজিল। মূলত সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। টুইটবার্তায় বিশ্বকাপজয়ী সাবেক জার্মান তারকা লেখেন, পূর্ব তুর্কিস্তানে আগুন দিয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হচ্ছে, মসজিদে তালা দেয়া হচ্ছে, মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে মুসলিমদের এবং যুবকদের বন্দি করে দাসত্বের সম্মুখীন করা হচ্ছে।
তবে ওজিলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চীন সরকার। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুজবে কান দিয়েছেন মেসুত। সম্পূর্ণ ভুল খবর ও তথ্যে প্রভাবিত হয়ে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি। তাকে জিনজিয়াং সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা।
জিনজিয়াং অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে তুর্কি বংশোদ্ভূত উইঘুর মুসলিমদের আটক রেখে তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে চীন সরকার। নিজ ধর্ম পালন থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের একটি সিন্ডিকেট গোপনে উইঘুর ঘুরে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।
এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ওজিল। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে তার জ্বালাময়ী মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছিল ফুটবল দুনিয়া। পরে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তুলে জার্মানির জাতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি। এরপর বিয়েতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে নিমন্ত্রণ করেও বিতর্কে জড়ান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।