মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নয়া দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে পুরো ভারত ফুঁসে ওঠছে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে। এখানে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
প্রথমে আবছা। কিন্তু নতুন লাইব্রেরির দোতলায় আর দশ-পনেরো পা এগোলেই রক্তের শুকিয়ে যাওয়া বড় বড় ফোঁটা! অভিযোগ, ভয়ে পালাতে থাকা ছাত্রদেরদের পিছু ধাওয়া করে পুলিশের বেধড়ক লাঠি পেটানোর এটিই অব্যর্থ নিশান।
একতলার অবস্থা আরো শোচনীয়। গ্রন্থাগারের রিডিং-রুমের প্রায় কোনো কাচ আস্ত নেই। মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে চেয়ার-টেবিল। সিসি ক্যামেরা ভাঙা। পেটমোটা বইয়ের পাশেই মেঝেতে ইটের টুকরো আর কাঁদানে গ্যাসের শেল। প্রায় একই ছবি পুরো ক্যাম্পাসে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এমনকি নরেন্দ্র মোদি আর অযোধ্যা সম্পর্কিত বই রাখা শো-কেসের কাচকেও রেয়াত করেনি অমিত শাহের পুলিশ। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার চত্বরে ‘পুলিশি তাণ্ডবের’ ১২ ঘণ্টা পরে ক্যাম্পাসে পা রেখেও মনে হলো, যেন যুদ্ধক্ষেত্র!
সোমবার সকাল থেকে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষের ঢল। কারো মুখে আজাদির স্লোগান, কেউ ছুটছেন গান্ধীর ছবি মাথার উপরে তুলে। কারো হাতে জাতীয় পতাকা, কেউ জনতার রোষে পুড়ে খাক হওয়া পুলিশ চৌকির সামনে ‘দিল্লি পুলিশ হায় হায়’ আওয়াজ তুলতে ব্যস্ত। হেলমেট-ঢাল-লাঠিতে সেজে কয়েক শ' ফুট দূরেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ। কাছের যে হাসপাতালে গত কাল আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ভিড় থিকথিক করছে তার সামনেও। এত বাস পোড়ার পরে আর কোনো ঝুঁকি না-নিয়ে আশেপাশের প্রায় সমস্ত মেট্রো স্টেশনের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তালাবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকেও। ভিতরে গুটিকয় পড়ুয়া।
বাইরের ভিড় দেখে জামিয়ার জনসংযোগ কর্মকর্তা আহমেদ আজিম বলছিলেন, ‘‘যাদের দেখছেন, এদের মধ্যে ছাত্রদের প্রায় কেউ নেই। কিন্তু এই তল্লাটে যেকোনো গোলমালের দায় বর্তায় জামিয়ার উপরে।’’ রোববার সন্ধ্যাতেও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিছিলে শামিল প্রতিবাদী ছাত্রদের পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বসে থাকা বহু ছাত্রছাত্রী পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন বলে তার অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।