নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলারদের পদচারণায় সোমবার মুখরিত ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবন সংলগ্ন কৃত্রিম মাঠ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এদিন বিকেলে সাবেকরা মেতেছিলেন ফুটবলানন্দে। লাল ও সবুজ নামে দু’দলে ভাগ হয়ে তারা খেলেছেন প্রীতি ম্যাচ। সে এক দেখার মতো দৃশ্য। এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলাররা বর্তমানে কেউ মুটিয়ে গেছেন। কেউবা বয়সের ভারে নুহ্য। কারো কারো মুখে সফেদ শুভ্র দাঁড়ি। রোগ-শোকে আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই শরীর-স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে। তারপরও ফুটবলের মায়া ছাড়তে পারেননি তারা। ঠিকই মাঠে এসেছেন বিজয় দিবসে প্রিয় ফুটবল নিয়ে মেতে উঠতে। সোনালী অতীতের অধিকাংশ তারকা ফুটবলাররা খেলতে নেমেছেন ঠিকই। কিন্তু দৌঁড়াতে গিয়ে হাফিয়ে উঠছেন। তবুও বিজয় দিবসের প্রীতি ম্যাচে প্রাণপণ লড়েছেন গোল করতে। যেখানে সাফল্য পেয়েছেন লাল দলের ফুটবলাররা। প্রীতি ম্যাচে লাল দল ১-০ হারিয়েছে সবুজ দলকে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বিজয়ীদের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন জাকির।
লাল দলে খেলেছেন কায়সার হামিদ, জসিম উদ্দিন জোসি, ছাইদ হাছান কানন, নজরুল ইসলাম, সেন্টু, আলফাজ আহমেদ, লিটু, নিজাম, জহির, ছোটন, আলমগীররা। নামের প্রতি সুবিচার করে দুর্দান্ত খেলেছেন তারা। সবুজ দলের হয়ে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়েছেন শেখ মো. আসলাম, নুরুল হক মানিক, ইলিয়াস হোসেন, সুলতান, মো. সুজন, জাকির, জালাল, ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব, মিন্টু, আবুল, টাইগার মিলরা। সবুজ দলের গোলরক্ষক পান্নু যেমন দু’টি গোলের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি লাল দলের গোলরক্ষক কাননও নিজের কারিশমা দেখিয়েছেন ম্যাচজুড়ে। ম্যাচের পরতে পরতে ছিল সাবেক ফুটবলার আবদুর রাজ্জাকের অভিজ্ঞ ধারাভাষ্য। খেলা শেষে দু’দলের হাতে দু’টি ট্রফি তুলে দেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের মহিলা উইংসের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
প্রীতি ম্যাচ শেষে সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো. আসলাম বলেন,‘মাঠে এলে মনে পড়ে একসময় ফুটবল খেলেছি দাপটের সঙ্গে। এখন মাঝে মধ্যে সোনালী অতীত ক্লাবের ছোট্ট মাঠে খেললেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলা হয়না। আজ (সোমবার) খেলতে নামলাম। ভালোই লাগছে। পুরনো স্মৃতি খুব মনে পড়ছে।’ বাংলাদেশ ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির কো-অর্ডিনেটর ও সাবেক ফুটবলার আবুল হোসেন বলেন, ‘এক মাঠে এক সঙ্গে সাবেক সব তারকা ফুটবলারদের দেখলাম। এ দিনটির জন্যই আমি অপেক্ষায় থাকি। সবাইকেতো আর একসাথে পাওয়া যায় না। খুব ভালো লাগছে এখানে এসে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।