মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সারা ভারতজুড়ে চলছে তোলপাড়। নতুন এই বিলটির প্রতিবাদে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কয়েক দিন ধরেই চলছে বিক্ষোভ। এবার নতুন করে আরও উত্তাপ ছড়াতে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেসের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। তবে এবার শনিবার রাজধানী শহর দিল্লীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারত বাঁচাওয়ের ডাক দিল কংগ্রেস।
রাজধানী দিল্লিতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, কৃষকদের দুর্দশা ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে দেশটির বিরোধী দল। এই সমাবেশে অংশ নেবেন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধীসহ দলের শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের বিদেশের শাখাগুলিও বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে যোগ দেবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। পরে রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই করায় তা আইনে পরিণত হয়ে গেছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ভারতে স্থায়ীভাবে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য এই আইন করেছে বলে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। তাছাড়া এই আইনের ফলে সংখ্যালঘু মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচেয়ে বেশি।
দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা এ আইন মানবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যই কেন্দ্রের আইন মানতে বাধ্য।
ভারতে নয়া নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক হিসেবে বর্ণনা করে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
ওই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনটি মৌলিক চরিত্রের দিক দিয়েই বৈষম্যমূলক এবং এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জানি যে এই আইনের বৈধতা ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং আমাদের আশা মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে ভারতের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে নাগরিকত্ব আইনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”
অন্যদিকে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। মোদি সরকার বিষয়টি স্বীকার করতে না চাইলেও দেশটির বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক দুরাবস্থার দৃশ্য তুলে ধরছেন। এছাড়া দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।