মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পত্র-পত্রিকা খবর দিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় শুরু হয় বিক্ষোভ, রেল-সড়ক অবরোধ। কোথাও আবার বাস-গাড়ীতে ভাঙচুর চালানোর মতো ঘটনা ঘটছে। বিক্ষোভ ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তাল এখন বাংলা। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া পাসপোর্ট যাত্রীরা। বসিরহাট, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্টেশন ও রাজ্য সড়কে চলছে অবরোধ। যার জেরে স্তব্ধ যান চলাচল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মূলত শুক্রবার থেকেই রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্ত।
দৈনিক আনন্দবাজার, বর্তমান, প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রিকা লিখেছে, দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পাশাপাশি এই আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আঁচ এ রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। আইন নিজেদের হাতে না তুলে নেওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠল বাংলা। এই আইন বিরোধী আন্দোলনের উত্তাপ যে এ রাজ্যেও ক্রমশ বাড়ছে, তা প্রত্যক্ষ করল রাজ্য। এই আন্দোলনকে ঘিরে তেতে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা ও হাওড়ার উলুবেড়িয়া। বিক্ষোভকারীরা কোথাও রেললাইনে, কোথাও জাতীয় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেলডাঙায় পুলিসকে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। নামাতে হয় র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। বিডিও অফিসের সামনে ভাঙচুর হয় দু’টি গাড়ি। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন বিরোধীদের টার্গেট ছিল রেল। বিক্ষোভকারীরা ট্রেন ও রেলের কেবিন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। বিক্ষোভ ও অবরোধের জেরে ব্যাহত হয় রেল ও সড়ক যোগাযোগ। পার্ক সার্কাসে দু’ঘণ্টা অবরোধ চলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিস্তীর্র্ণ এলাকা।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা। রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। বহরমপুরের ভাকুড়িতে, রঘুনাথগঞ্জে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ চলে ডোমকল ও নওদাতে। এই আইনের প্রতিবাদে বীরভূমের ইলামবাজার, পাড়ুই, বাসাপাড়া, মহম্মদবাজারে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই জেলার নলহাটি, ময়ূরেশ্বরে জাতীয় সড়কেও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
হুগলি জেলার আরামবাগের হরিণখোলায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের সময় পুলিস আচমকা লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। যদিও পুলিস লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে। আসানসোলের বিএনআর মোড়ে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। বর্ধমানের সেহারাবাজারে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ তমলুক শহর ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মেদিনীপুরের এলাহিগঞ্জে প্রায় দু’ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ হয়। প্রতিবাদ মিছিল বেরয় পুরুলিয়া শহরেও। তারই মধ্যে নদীয়ার হাঁসখালির বগুলাতে এই আইনের সমর্থনে বিজেপি উল্লাস মিছিল বের করে।
জানা যায়, শিয়ালদহ ডিভিশনের বারাসত-হাসনাবাদ শাখায় বিক্ষোভের জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে। হাসনাবাদ শাখার সোঁদালিয়া-লেবুতলা স্টেশনের মাঝে অবরোধ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।