Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্বিতীয়বারের মতো পেঁয়াজ সঙ্কটে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:২৬ এএম

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সঙ্কটে পড়েছে ভারতীয়রা। ভারতীয় রান্নার অন্যতম প্রধান উপাদান পেঁয়াজের দাম ভারতের কিছু কিছু শহরে ১৬০ রুপি (৩ ডলার) পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। গত বছরে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০ থেকে ২০ রুপি। গৃহস্থালির ব্যয় বেড়ে গেছে, ভর্তুকি দিয়ে যেসব জায়গায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে, সে রকম কয়েক জায়গায় পদপিষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, পেঁয়াজের মজুদ লোপাট হচ্ছে আর রেস্তোরাঁগুলোতে পেঁয়াজের বদলে বাঁধাকপির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিক্ষোভের খবর বেরিয়েছে। বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় এখন গরম ইস্যু। এটা নিয়ে ব্যাপক হাস্যরসও চলছে সেখানে। টুইটারে এক ব্যক্তি লিখেছেন, “রুপি যেটা করতে পারেনি, পেঁয়াজ সেটা করেছে। ডলারের দাম যেখানে ৭০ রুপি, সেখানে পেঁয়াজের দাম ১২০ রুপিতে চলে গেছে”। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক অটো রিকশাচালক ভাড়ার জন্য রুপির বদলে যাত্রীর কাছ থেকে পেঁয়াজ নিচ্ছে। কিন্তু এসব মজার আড়ালে ভুগতে হচ্ছে ভারতীয়দেরকেই। দিল্লীর খাবার বিক্রেতা নন্দলাল বললেন, নিজের পরিবারের জন্য এবং ব্যবসার জন্য পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন বটে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করেননি। কিন্তু রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হয়েছে তাকে। বিগত কয়েক সপ্তাহে বহু শহরে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ থেকে নিয়ে তিনগুণ পর্যন্ত হয়েছে। কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৬০ রুপি থেকে ১০০ রুপি পর্যন্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমি চিন্তা করছি এত দামি খাবার খাওয়াটা কি আমাদের জন্য জরুরি? আমরা পেঁয়াজ ব্যবহার করছি, কিন্তু অল্প পরিমাণে। বাসার জন্য ১০০ বা ২০০ গ্রাম পেঁয়াজ ব্যবহার করছি। এক কেজি পেঁয়াজ কেনা আমার সাধ্যের বাইরে”। পেঁয়াজের উচ্চমূল্যের জন্য রাজনৈতিকভাবেও মূল্য দেয়া লাগতে পারে। ১৯৯৮ সালে দিল্লীর নির্বাচনে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয় প্রভাব ফেলেছিল এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে এ জন্য হারতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন উল্টে যাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই, কিন্তু পেঁয়াজের দাম তার সরকারের অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের অর্থনীতি ধীর গতিতে এগুচ্ছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.৫ শতাংশ মাত্র। ছয় কোয়ার্টারের মধ্যে এই হার সবচেয়ে কম। অন্যদিকে সবজির উচ্চমূল্যের কারণে খুচরা মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি - ৪.৬২ শতাংশ। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ