মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বুধবার ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। এর প্রতিবাদে ত্রিপুরার ও আসাম রাজ্যে প্রচন্ড বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় রাজ্য দু’টিতে সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হলো কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গেছে, ত্রিপুরার দু’টি এলাকা ও আসামের বঙ্গাইগনে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভের মোকাবেলা করতে তিন প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দুই প্লাটুন সেনা পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর ও মনু অঞ্চলে। এক প্লাটুন মোতায়েন হয়েছে আসামের বঙ্গাইগনে। প্রসঙ্গত, প্রতিটি প্লাটুনে সেনার সংখ্যা থাকে ৭০। নেতৃত্বে থাকেন এক বা দু’জন কর্মকর্তা। সেনা মোতায়েনের কারণ, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্বের সংঘর্ষ। এই বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের অমুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই বিলের বিরোধিতা করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। এমনকী বিজেপির জোটসঙ্গী দলের নেতারাও অনেকে বিরোধিতা করেছেন।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশ কররেন সংসদে। বুধবার বিলটি পেশ করা হয়েছে রাজ্যসভায়। তিনি উত্তর-পূর্বের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়েছেন, এই বিল প্রায় গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রযোজ্য হবে না। তিনি প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানান।
নাগরিকত্ব বিলের খসড়ায় আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের জনজাতি অঞ্চলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবুও উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু অঞ্চলে এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকার ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেপাহিজালায় এক দু’মাসের অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা অবরোধ হলে শিশুটি মারা যায়।
এক প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন বনধ ডেকেছিল এই বিলের প্রতিবাদে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, এই বিল পাস হওয়াটা ‘বিপজ্জনক’। তাদের মতে, এই বিল পাস হলেই বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এই রাজ্যে ঢুকে পড়বেন।
আসামের গুয়াহাটি সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গার জনজীবন থমকে যায়, বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনের তরফে বনধ্ ডাকা হয়। প্রধান সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে উত্তাল হন বিক্ষোভকারীরা, উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবরোধ করার কারণে, বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিধানসভা ও রাজ্যের সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ডিব্রুগড় জেলায় সিআইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের, দুলিয়াজানে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হন। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।