নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যে সকল মুসলিম খেলোয়াড় খেলার মাঠেও ধর্ম পালনে সবসময়ই প্রস্তুত থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী তারকা মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের পাশেও তাকে সবসময় দেখা যায়। এবার ১০০০ শিশুর অপারেশনের দায়িত্ব নেবার কথা জানিয়ে নিজের মহত্বের প্রমাণ আরেকবার দিলেন ওজিল। সেই সঙ্গে আরো এক লক্ষাধিক মানুষকে খাওয়ানোরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ছয় বছর আগে আর্সেনালে যোগ দেন ওজিল। এরপর উত্তর লন্ডনে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। সেই বাড়ির দেয়ালেই তার মা মিসেস গুলিজার ওজিল একটি বার্তা লিখে দেন। বার্তাটি ছিল, “মেসুত, এই পৃথিবীতে তুমি কেবলমাত্র একজন অতিথি। এই কথাটি কোনোদিন ভুলে যেও না। আল্লাহ তোমাকে অন্যের থেকে একটু আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সেটা শুধু তোমার নিজের ভালোর জন্য নয়। যদি তুমি তোমার সম্পদ গরিব অসহায় লোকদের সাথে ভাগ না কর তাহলে তুমি আমার ছেলে নও।”
মায়ের সেই কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেন। যখনই কোনো সুযোগ পান তখনই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান ওজিল। এবার নিজের বিয়ের দিন সাবেক মিস তুর্কি এমাইন গালসকে তিনি নিজেই জানান, তিনি প্রায় এক হাজার শিশুর কিডনির অপারেশনে সহায়তা করতে চান।
জানা গেছে, নতুন এ কাজে ওজিলের কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হবে। তবে ওজিল নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত করতেই অধিক পছন্দ করেন।
মেসুত ওজিলকে বরাবরই ফুটবলের বাইরে ধার্মিক চরিত্রে দেখেছে সবাই। জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের পাশে থেকেও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছেন।
ওজিলের সামাজিক বিষয় দেখাশোনা করা এরকুট এ প্রসঙ্গে জানান, ‘গত বিশ্বকাপের সময় সে আমাকে বলে, এবার আরও বেশি কিছু করতে হবে। চলো এবার সারা বিশ্বের কয়েক হাজার শিশুর অপারেশনের দায়িত নিয়ে ফেলি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।