মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ‘ভুল পথে বিপজ্জনক মোড়’ হিসেবে অভিহিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক কমিশন। একইসঙ্গে কমিশন বিলটি ভারতীয় সংসদের উভয় সভায় পাস হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার জারি করা এক বিবৃতিতে ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াল ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) জানায়, লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ায় এটি ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করবে।
কমিশন বলেছে, যদি বিলটি সংসদের উভয় সভায় পাস হয় তবে অমিত শাহ এবং অন্যান্য প্রধান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করা উচিত মার্কিন সরকারের। ইউএসসিআইআরএফ আশঙ্কা করছে যে ভারত সরকার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য একটি ধর্মীয় পরীক্ষা তৈরি করছে যাতে লাখ লাখ মুসলমান নাগরিকত্ব হারাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউএসসিআইআরএফ লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের দ্বারা প্রবর্তিত সিএবি পাসের ফলে ‘গভীর উদ্বেগিত’। এতে বলা হয়, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত সরকার ইউএসসিআইআরএফের বিবৃতি এবং বার্ষিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছে।
পূর্ববর্তী ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) সরকারের আমল থেকেই ভারত ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে যে তারা তৃতীয় দেশের মতামত বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রিপোর্টকে স্বীকৃতি দেয় না।
প্রস্তাবিত আইন অনুসারে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
গতকাল সোমবার ভারতের লোকসভায় এই বিতর্কিত বিলটি উত্থাপন করেন অমিত শাহ। যেখানে এর পক্ষে ভোট পড়ে ৩১১টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮০টি। এখন রাজ্যসভায় এটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
বিলটি উপস্থাপনের সময় অমিত বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনে যেকোনো ধর্মের লোককে কোনো ভয় পাওয়া উচিত নয়, কারণ এই বিলটি সেই সংখ্যালঘুদের স্বস্তি দেবে, যারা প্রতিবেশীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে বেদনাদায়ক জীবনযাপন করছেন।
শাহ জোর দিয়ে বলেন, এই বিলে ১৩০ কোটি ভারতীয় নাগরিকের সমর্থন রয়েছে এবং এটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রদান করবে। তবে এই বিলের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।