মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জের শেখ নজরুল ইসলাম নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী পদ্মার একটি ইলিশের সঙ্গে এক কেজি পেঁয়াজ ফ্রি দিচ্ছেন। দোকানে টাঙানো বিজ্ঞাপনে বড় অক্ষরে লেখা আছে, ‘একটা পদ্মার ইলিশের সঙ্গে ১ কিলো পিয়াজ বিনাম‚ল্যে’। খবর স্থানীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের। নজরুল ইসলাম জানান, এখন ১৩০০ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পদ্মার ইলিশ। তিনি শনিবার পদ্মার ইলিশ ক্রেতাদের জন্য এই অফার চালু করেছেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে পদ্মার ইলিশের সঙ্গে বিনাম‚ল্যে পেলে ক্রেতাদের ভালো লাগবে। তাদের চমক দিতেই আমার এই প্রয়াস। ইতোমধ্যে ক্রেতারা এই অফার নিতে শুরু করে দিয়েছেন। বিক্রেতার আশা, রোববার বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। এই অফার থাকবে আগামী মঙ্গলবার বা বুধবার পর্যন্ত। কয়েকদিন ধরেই ভারতের পেঁয়াজের বাজারে আগুন। উৎপাদনের থেকে চাহিদার পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কলকাতায় ইতোমধ্যে দেড়শ’র গন্ডি ছুঁয়েছে পেঁয়াজের দাম। এসময় একটা ইলিশের সঙ্গে বিনাম‚ল্যে এক কেজি পেঁয়াজ পাওয়ার এই অফার মোটেও তুচ্ছ নয়। অপরদিকে, বেঙ্গালুরু শহরে পেঁয়াজের কেজি প্রতি ম‚ল্য ২০০ রুপিতে উঠেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাজারে সরবরাহে ঘাটতির কারণে পেঁয়াজের ম‚ল্য উপর দিকে ছুটেছে বলে শনিবার বেঙ্গালুরুর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্নাটক রাজ্যের এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কর্মকর্তা সিদ্ধাগাঙ্গাইয়া বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, “প্রতি ১০০ কেজি (এক কুইন্টাল) পেঁয়াজের পাইকারী ম‚ল্য সাড়ে পাঁচ হাজার রুপি থেকে ১৪ হাজার রুপি পর্যন্ত ওঠানামা করতে থাকায় বেঙ্গালুরুর কিছু খুচরা পণ্যের দোকানে পেঁয়াজের কেজি ২০০ রুপি ছুঁয়েছে।” এ কারণে বেঙ্গালুরুর বাড়ি ও রেস্তোরাঁগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রধান সব্জিটি নাই হয়ে গেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। ভারতের পেঁয়াজের চাহিদা বার্ষিক ১৫০ লাখ মেট্রিক টন। কর্নাটকের বার্ষিক পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিমাণ ২০ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ফসল হানি ও ফসল তোলার পর নষ্ট হওয়ায় কর্নাটকের পেঁয়াজ উৎপাদন এবার ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। ফসল তোলার সময় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেও প্রচুর পেঁয়াজ নষ্ট হয়। অবশিষ্ট পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। পেঁয়াজের ঝাঁজ গড়িয়েছে আদালতে। ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাশ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে বিহারের এক আদালতে পেঁয়াজের ম‚ল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পেঁয়াজের ম‚ল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতারণা ও বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মুজ্জাফ্ফরপুর মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে মামলাটি করেছেন এম রাজু নায়ার নামে এক সমাজকর্মী। মামলাকারী বলেন, কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা রামবিলাশ পাসোয়ানের দায়িত্ব। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে সম্প‚র্ণ ব্যর্থ হয়েছেন মোদী সরকারের এই মন্ত্রী। এ কারণে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আগামী ১২ ডিসেম্বর মামলার শুনানির দিন স্থির করেছেন বিচারক মৌর্য কান্ত তিওয়ারি। নভেম্বরে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কুইন্টাল পেঁয়াজ কর্নাটকের বাজারগুলোতে আসতো, কিন্তু ডিসেম্বরে তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে; এতে বাজারে পেঁয়াজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যটির কৃষি উৎপাদন বাজার কমিটি (এপিএমসি) একটি সার্কুলার জারি করে ছুটির দিনেও পেঁয়াজ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছে। “পাইকার ও খুঁচরা বিক্রেতাদের কাছে তেমন কোনো মজুত নেই। আশ্চর্যজনকভাবে কর্নাটক রাজ্যেরও পেঁয়াজ মজুত করে রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই,” বলেন সিদ্ধাগাঙ্গাইয়া। সংবাদ প্রতিদিন, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।