মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের অন্যতম জাতিগোষ্ঠী কারেনদের বৈশ্বিক বিভিন্ন সংগঠন দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ওয়ার্ল্ডওয়াইড কারেন কম্যুনিটি নামে ৪৮টি কারেন সংগঠনের একটি সম্মিলিত সংস্থা বলেছে, ‘মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়া মানুষের সঙ্গে একাত্ম থাকবে কারেন জনগোষ্ঠী।’ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘এসব মামলা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি স্পষ্ট বার্তা যে, বিচারের জাল ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে। বার্মার সকল জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের সংঘটিত অপরাধে তাদের দায়মুক্তির দিন ফুরিয়ে আসছে।’ এ খবর দিয়েছে মিয়ানমার টাইমস। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ এই কারেন জনগোষ্ঠী। অর্থাৎ প্রায় ৫০ লাখ লোক। এদের বেশিরভাগই কায়িন অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলেও তাদের বসবাস। তবে বিদ্রোহের জেরে সেনা নৃশংসতার কারণে হাজার হাজার কারেন নিজ বাড়িঘর ছেড়ে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন। অনেকে আবার ভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি কারেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর লড়াই চলছে কয়েক দশক ধরে। শুধু কারেন জনগোষ্ঠীই নয়, অন্যান্য আরও সম্প্রদায়ের সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে সংঘাত লেগে আছে মিয়ানমারের। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দেশজুড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমণ সম্পূর্ণ বন্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সহ অন্যান্য চাপ প্রয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত চাপের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে প্রকৃত ও অংশগ্রহণমূলক সংলাপ আয়োজনে বাধ্য করা। প্রসঙ্গত, ১১ই নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। এতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে তাতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়। আগামী মাসে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠেয় বিচারে মিয়ানমারের পক্ষে যে বিশেষজ্ঞ দল লড়বে সেখানে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির নেতা অং সান সুচি। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বাইরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলিরাও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করছেন। তবে এই আদালতের সংবিধি যেহেতু মিয়ানমার অনুস্বাক্ষর করেনি, সেহেতু এই তদন্তের সঙ্গে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। মিয়ানমার টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।