মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২৯ সদস্যবিশিষ্ট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটো জোটকে ‘মাথাহীন’ বলে সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যে মন্তব্য করেছেন তাকে খুবই ‘বাজে’ অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লন্ডনে ন্যাটো সামরিক জোটের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিবিসি।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করেছে ন্যাটো এবং মাখোঁর মন্তব্য খুবই অপমানজনক।’ ফ্রান্স ন্যাটো থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে মনে করেন তিনি। তবে কী কারণে ফ্রান্সের এ পিছুটান, তা বুঝতে পারছেন না বলেও জানান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রসারণ ঠেকাতে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর জন্ম হয়েছিল। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট দেশগুলো অঙ্গীকার করেছিল যে তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে অন্যরা এগিয়ে আসবে। কিন্তু গত মাসে এক বক্তৃতায় মাখোঁ অভিযোগ করেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ন্যাটো সদস্যরা একে অন্যকে সহযোগিতা করছে না। ন্যাটোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিন দিন দুর্বল হওয়ায় জোটটিকে ‘মাথাহীন’ হিসেবে অভিহিত করেন।
এক আগে মাখোঁর মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মাখোঁর দুর্বল পাঠ রয়েছে এবং তিনি নিজেকেই ‘মাথামোটা’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন বলে মনে করেন এরদোগান।
জোটভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে ফ্রান্স ও তুরস্কের মধ্যে তিক্ততায় এবারের সম্মেলনটি জৌলুস হারিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, বাল্টিক অঞ্চলের প্রতিরক্ষায় গৃহীত ন্যাটোর পদক্ষেপের তিনি বিরোধিতা করবেন, যদি জোটটি সিরিয়ায় তুরস্কের কুর্দিবিরোধী অভিযানে সমর্থন না করে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গের সঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, মহান উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করছে ন্যাটো। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে ট্রাম্প বলেন, জোটের অন্য সদস্যদের জন্য তার (মাখোঁর) মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক। এটা একেবারেই বিশ্রী মন্তব্য। আমার মনে হচ্ছে ফ্রান্সে উচ্চ বেকারত্ব রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে একেবারেই ভালো অবস্থানে নেই দেশটি। ফ্রান্সে যখন এ রকম কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন এ রকম মন্তব্য বেখাপ্পা দেখাচ্ছে।
ট্রাম্প আরো বলেন, ন্যাটোকে সবচেয়ে বেশি দরকার ফ্রান্সের। যুক্তরাষ্ট্রকে খুব কমই সুবিধা দেয় এটি। ফ্রান্সের কাছ থেকে এ রকম মন্তব্য আসা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
ন্যাটো সদস্যরা জোটটিতে পর্যাপ্ত আর্থিক অবদান রাখছে না, এ অভিযোগ ফের উত্থাপন করেছেন ট্রাম্প। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব অনেক পাল্টে গেছে, এখন ন্যাটোও অনেক পাল্টাচ্ছে। বর্তমানে ন্যাটো অনেক নমনীয় হওয়ায় আমি জোটটির অনেক বড় ভক্ত হয়ে পড়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।