মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত মহাসাগরে চিন নিজেদের প্রতিপত্তি বাড়াচ্ছে বলে বারংবার দিল্লিকে সতর্ক করেছে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। এবারে তেমনই একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং।
কয়েকমাস আগেই দিল্লির অনুমতি না নিয়ে সম্প্রতি ঢুকে পড়েছিল ‘শি ইয়ান ১’ নামে একটি চিনা জাহাজ। পিছু তাড়া করে নৌবাহিনী সেটিকে এলাকাছাড়া করেছে। আগামী কাল নৌবাহিনী দিবস উদযাপন। ঠিক তার আগের দিন মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং এই কথাই জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভারত মহাসাগরে প্রতিদিন নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে চিন। বিভিন্ন সময়ে আচমকা ঢুকে পড়ছে চিনা জাহাজ। ভারতের সীমানা লঙ্ঘন করে বহু সময়ে ঢুকে পড়ছে যুদ্ধজাহাজও। শুধু সাগরের উপরেই নয়। মহাসাগরের নীচেও গোপনে ঢুকে পড়ছে চিনের সাবমেরিন। ভারত মহাসাগরের অর্থনৈতিক জোনের কাছাকাছি এলাকায় গড়ে সাত থেকে আটটি চিনা জাহাজ ঘোরাফেরা করছে। ভারত সেগুলির উপস্থিতি বিলক্ষণ জানে এবং সেইগুলির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। করমবীর বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকেই ভারত মহাসাগরে উত্তরোত্তর চিনের উপস্থিতি বাড়ছে। আমরা এই বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখছি।’
কিন্তু কেন ভারত মহাসাগরে ঢুকে পড়ছে চিনা জাহাজগুলি?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নৌসেনা প্রধান বলেন, ‘ এই আচমকা সীমা লঙ্ঘন করার পিছনে রয়েছে নানাবিধ উদ্দেশ। কখনও সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণার জন্য। কখনও বা সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান অথবা উত্তোলনের জন্য। কখনও আবার জলদস্যু দমন অভিযানে।’
গত সেপ্টেম্বরেই আন্দামান নিকোবরের পোর্টব্লেয়ারের কাছাকাছি অঞ্চলে দিল্লির অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়েছিল ‘শি ইয়ান ১’ নামে এমনই একটি চিনা জাহাজ। ভারতের জলসীমানায় ঢুকতেই ওই জাহাজের পিছু তাড়া করে ভারত মহাসাগরে ভারতের এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের অজানা নেই ভারত মহাসাগর নিয়ে যথেষ্টই আগ্রহ রয়েছে পাকিস্তানের। পাক অভিসন্ধির কথাও আমরা জানি। ভারত মহাসাগর দিয়ে যে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢোকার ফন্দি এঁটেছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে সেই খবরও আমরা পেয়েছি। প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।এরপরেও চিনা জাহাজ ভারতের জলসীমানায় আসবে তাও জানে ভারতীয় নৌসেনা। আমরা এই বিষয়ে প্রস্তুতও রয়েছি।’
করমবীর জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে কড়া নজরদারির জন্য বাহিনীতে তিনটি নতুন ‘মিগ-২৯-কে’ যুদ্ধবিমান আনা হচ্ছে। সেগুলি ২০২২ সাল থেকেই কাজে নেমে পড়বে।
আগামী বছরেই আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে মহড়ায় নামতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। তবে, আমন্ত্রিত দেশগুলির তালিকায় রাখা হয়নি চিনকে।
সূএ : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।