মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের জীবন এবং জীবিকার উপরে বর্ষা মৌসুমের অপরিসীম প্রভাব রয়েছে। এটি জমিতে সেচের জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভর করে এমন লাখ লাখ কৃষকের ভাগ্য নির্ধারণ করে। এর উপরে খাবারের উৎপাদন নির্ভর করে। বর্ষার একটি নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এখন বর্ষার উপরেও প্রভাব ফেলছে। এটি মৌসুমি বৃষ্টিপাতকে আরও তীব্র এবং কম অনুমানযোগ্য করে তুলেছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয়, দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রায় এক দশকের দূরদৃষ্টিহীন সরকারি নীতিগুলি কয়েক কোটি ভারতীয়কে, বিশেষ করে দরিদ্রদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে অসহায় করে ফেলেছে।
কয়েক বছরের খরার পরে, ফকির মোহাম্মদ নামে এক সংগ্রামী কৃষকের ক্ষেতের শস্য কীটপতঙ্গের আক্রমণে ও অসময়ের বৃষ্টির জন্য ধ্বংস হয়ে যায়। মুম্বাইয়ের দর্জি রাজেশ্রী চাভানকে এ বছর দুইবার বন্যায় ডুবে যাওয়া তার বাসা থেকে জমে থাকা ময়লার আস্তরন পরিস্কার করতে হয়েছে। ব্যাঙ্গালোর শহরের যে লেকগুলো বৃষ্টির পানি ধরে রাখত, সেগুলো প্লাস্টিক ও আবজর্নায় ভরে গেছে। ভূগর্ভস্থ পানি প্রকৃতি যত দ্রুত পূরণ করতে পারে তার থেকে দ্রুত নেমে যাচ্ছে।
দিল্লিতে যে নদীকে হিন্দুরা পবিত্র বলে পূজা করে সেটি শিল্পবর্জে সৃষ্ট বিষাক্ত ফেণায় ভরে গেছে। চেন্নাইতে, রান্নাঘরের কলগুলো কয়েক মাস ধরে শুকনো রয়েছে। মহিলারা যখন তাদের ব্লকে ট্রাকের শব্দ শুনতে পান তখন তারা হাতে প্লাস্টিকের পাত্র নিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দৌড়ান। ভারতে বৃষ্টি এখন আরও অনিশ্চিত। চলতি বছর ভারতে সেপ্টেম্বর মাসে এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যায় এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এমনকি অক্টোবর মাসে যখন সারা দেশে ফসল উৎসব হয়, তখনও বেশিরভাগ জায়গা পানির নিচে তলিয়ে ছিল।
আরও উদ্বেগজনক হল, চরম বৃষ্টিপাত এখন আরও ঘন ঘন হচ্ছে। সমস্যাটি বিশেষত, পশ্চিমে মহারাষ্ট্র রাজ্য থেকে পূর্বে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতের কেন্দ্রীয় অংশে তীব্রতর। সা¤প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র অনুসারে, গত ৭০ বছরে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তিনগুণ বেড়েছে। কিন্তু বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলণামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনই ভারতের পানির দুর্দশার জন্য শুধুমাত্র দায়ী নয়। দশকের পর দশকের লোভ এবং অব্যবস্থাপনা আরও বেশি দোষী। বৃষ্টিপাতকে ধরে রাখতে যে সবুজ বনভূমি সাহায্য করে তাদের সাফ করা অব্যাহত রয়েছে। ডেভেলপারদের জলাশয় এবং হ্রদগুলোর উপরে স্থাপনা নিমার্ণের অনুমতি দেয়া হয়। সরকারি ভর্তুকি ভ‚গর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত উত্তোলনের জন্য উৎসাহ দেয়।
ভবিষ্যতটি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য অশুভ। বিশ্বব্যাংকের অনুমান, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সাথে অধিক বৃষ্টিপাত দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেবে। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।